উত্তরার ওয়ার্ড গুলো হবে গুলশান বনানীর মত: আতিকুল ইসলাম

উত্তরার ওয়ার্ড গুলো হবে গুলশান বনানীর মত: আতিকুল ইসলাম

গতকাল ১৭জানুয়ারি উত্তরাস্থ বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা কল্যান সমিতির উদ্দ্যেগে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উত্তরাস্থ বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা কল্যান সমিতি সভাপতি সৈয়দ শামীম রেজা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করর্পোরেশন (ডিএনসিসি) আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী জনাব মোঃ আতিকুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তাব্যে আতিকুল ইসলাম বলেন, আমি অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাই উত্তরাস্থ বৃহত্তর ফরিদপুর বাসীকে আমাকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রন করার জন্য। পাশাপাশি ধন্যবাদ জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে, যিনি আমাকে বিশ্বাস করে পূন:রায় তার দল থেকে মনোনীত করেছেন। তিনি আরও বলেন, আমি কিন্তু সাধারন পরিবারের সন্তান, তাই আমি সাধারন মানুষের মনের কথা বুঝি। একবার ঈদের দিন মা অভাবের সংসারে আমার আবদার রাখার জন্য একটি জামা বানিয়ে বালিশের নিচে রেখে দেন। জাতে ইস্ত্রি করা না লাগে ।

কারন আমাদের ইস্ত্রি ছিলো না। তিনি কাপড় শেলাই করে মানুষের বড়িতে গিয়ে লুকিয়ে বিক্রি করতেন। এসব আলোচনা করতে গিয়ে তিনি আবেগ আপ্লুতো হয়ে পড়েন।

প্রধানমন্ত্রী আমাকে বিশ্বাস করে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা আমি সম্পুর্ণ সততার মাধ্যমে পরিপুর্ণ করতে চাই।তিনি বলেন আমার বড় ভাই চিফ জাস্টিস তোফাজ্জল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফাসির রায় দেন। সত্য ও সততার প্রশ্নে আমরা পরিবারের সকলেই আপোষহীন । আমার আরেক ভাই লেঃ জেঃ মইনুল ইসলাম,এক ভাই মারা গেছেন ও আমি সকলের ছোট।

তিনি উত্তরাস্থ ফরিদপুর জেলা সমিতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন আপনাদের পাশে আমি সব সময় থাকব। আমাকে যদি মেয়র নির্বাচন করেন তাহলে সকলের জন্য টাউন হল মিটিংয়ের ব্যাবস্থা করা হবে। যেখানে জনগণ সরাসরি তাদের সমস্যা নিয়ে মেয়র ও কাউন্সিলরদেরকে প্রশ্ন করতে পারবেন। তিনি নতুন দুই ওয়ার্ডবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন আপনাদের জন্য ব্যাপক চমক নিয়ে আসব যা সত্যিই এক বিশাল সারপ্রাইজ।

প্রধানমন্ত্রী চার হাজার দুইশত কোটি টাকা শুধু নতুন ওয়ার্ডের জন্য বরাদ্দ করবার কথা দিয়েছেন। সকল রাস্তা-ঘাট,ফুটপাথ,ওয়াকওয়ে পর্যায় ক্রমে গুলশান বনানী বানানো হবে। তাই সকলকে এক এক জন ব্যাক্তি আতিক হয়ে সকলের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইবার অনুরোধ করেন।

১ নং ওয়াডের কাউন্সিলর প্রার্থী আফসার খান বলেন, গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি সেই জেলাও এক সময় বৃহৎ ফরিদপুরের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। তাই এই ফরিদপুর সোসাইটি অবশ্যই নৌকার জন্য কাজ করবেন।তিনি তার ঝুড়ি প্রতিকের জন্য ভোট চান।
৫৩ নং ওয়াডের কাউন্সিলর প্রার্থী শরিফুর রহমান শরিফ ফরিদপুর জেলা সোসাইটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার প্রতিক ব্যাটমিন্টন মার্কায় ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, আপনারা নিশ্চয় সৎ, যোগ্য প্রার্থীকে জিতিয়ে আনবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।

সংরক্ষীত মহিলা কাউন্সিলর প্রাথী ১৭ আসনের আবেদা আক্তার বই প্রতিকে ভোট কামনা করে বলেন বঙ্গবন্ধুকে যারা ভালবাসেন তারা অবশ্যই নৌকাকে বিজয়ী করে আনবেন।

আরেক নারী কাউন্সিলর প্রাথী ৪৬,৪৭,৪৮ এর নুরুন নাহার রিনি বলেন, আমি ৯০ এর দশক থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত রয়েছি। আমৃত্যু আওয়ামী লীগের সাথেই থাকতে চাই।তিনি চশমা প্রতিকে ভোট প্রার্থনা করেন।

আরও বক্তব্য রাখেন, উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনোয়ারুল ইসলাম রবিন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নেতা মতিউর রহমান মতি, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও বরিশাল সমিতির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক, বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী ও নিপা গ্রুপের চেয়ারম্যান খসরু চৌধুরী, উত্তরা আওয়ামী লীগ এর তথ্য ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও উত্তরাস্থ বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা কল্যান সমিতির উপদেষ্টা এস এম মাহবুব আলম, উত্তরা ৩নং সেক্টর কল্যান সমিতির সভাপতি মামুনুল হক মামুন, ফরিদপুর জেলা কল্যান সমিতির সেক্রেটারি মোঃ আলমগীর হোসেন, আমির কমপ্লেক্স এর সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান সুজন, সিনিয়র সিটিজেন সোসাইটির সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, উত্তরাস্থ বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা কল্যান সমিতির সাবেক সভাপতি লতিফ রহমান, মিজানুর রহমান মিজান প্রমূখ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ এর অংগসংগঠনের উত্তরাস্থ ফরিদপুর ও স্থানীয় নেত্রীবৃন্দ।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password