ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির একটি বাড়ি থেকে এক দম্পতি ও তাদের তিন সন্তানের পচাগলা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার দিল্লির ভজনপুরা এলাকায় একই পরিবারের ওই পাঁচ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তের পর দিল্লি পুলিশের ধারণা, আর্থিক অনটনের কারণে ওই পরিবারের পুরুষ সদস্য অন্যদের হত্যা করার পর নিজেও আত্মহত্যা করেছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, ঘনবসিতপূর্ণ ভজনপুরার ওই বাড়িতে এই হত্যাকাণ্ড চার-পাঁচদিন আগে ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রত্যেকের মরদেহ পচে যেতে শুরু করেছে।
প্রতিবেশিরা ওই বাড়ি থেকে প্রকট দুর্গন্ধ পাওয়ায় বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশকে ঘটনার ব্যাপারে টেলিফোনে জানায়। পুলিশ ওই বাড়িতে পৌঁছে ঘরের দরজা ভেতর থেকে আটকানো অবস্থায় পায়। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে এক দম্পতি ও তাদের তিন সন্তানের পচাগলা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ বলছে, ওই বাড়ির কর্তা শম্ভু পেশায় অটোরিকশা চালক। ৩৮ বছর বয়সী স্ত্রী সুনিতাকে নিয়ে গত ছয় মাস আগে দিল্লির ভজনপুরা এলাকায় ওই বাসায় ভাড়া থাকতে শুরু করেন ৪৩ বছরের শম্ভু। এই দম্পতির সঙ্গে তাদের ১৬ বছর বয়সী এক মেয়ে এবং ১৪ ও ১২ বছর বয়সী দুই ছেলের মরদেহও উদ্ধার করা হয়েছে।
বাড়িতে বলপ্রয়োগপূর্বক প্রবেশ কিংবা ডাকাতির কোনও আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন