খুলনায় ভালোবাসা দিবসে স্কুলছাত্রীকে ৩ বন্ধু মিলে রাতভর গণধর্ষণ

খুলনায় ভালোবাসা দিবসে স্কুলছাত্রীকে ৩ বন্ধু মিলে রাতভর গণধর্ষণ

খুলনার দিঘলিয়ায় ভালোবাসা দিবসে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী। কিন্তু বন্ধুত্বের সরল বিশ্বাসের কাছে প্রতারিত হলেন তিনি। সারাদিন ঘুরে বেড়ানোর পর তিন বন্ধু পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে তাকে।

১৪ই ফেব্রুয়ারির এ ঘটনার দৃশ্য ভিডিও ধারণ করে তারা। সেই ভিডিও দিয়ে মেয়েটিকে ফাঁদে ফেলারও চেষ্টা করে। উপজেলার চন্দনীমহল এলাকার ওই ছাত্রীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া আরও দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছিল। তবে ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিওতে ধারণকারীকে আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে ভিডিওটি গায়েব করে দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

একাধিক সূত্র জানায়, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দৌলতপুরে ফুপুর বাড়ি থেকে সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে নিয়ে ঘুরতে বের হয় চন্দনীমহল এলাকার শাহিন (২৬) ও তার বন্ধু কাজল ও তাজুল মল্লিক। রাতে বিভিন্নস্থানে ঘুরে বেড়ানোর পর শাহিন ও তার বন্ধুরা চন্দনীমহল এলাকায় জনৈক শরিফুলের বাড়িতে নিয়ে মেয়েটিকে রাতভর ধর্ষণ করে। শনিবার তাকে কাটাবন এলাকায় ফেলে দিয়ে যায়। সেখান থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।

রাতভর ধর্ষণের সেই দৃশ্য ভিডিও ধারণ করে শরিফুল। সেই ভিডিও দিয়ে মেয়েটিকে সে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করে। এ বিষয়ে গতকাল সোমবার বিকেলে মামলা হয়েছে। মামলায় শাহিন, কাজল ও তাজুলের নাম থাকলেও রহস্যজনকভাবে শরিফুলের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

এ বিষয়ে দিঘলিয়া থানা পুলিশের ভারাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে। শাহিন নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দুই আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

তবে শরিফুলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করেন। পরে বলেন, তদন্তে দেখা যাবে কে কে জড়িত রয়েছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password