গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বামীর পরিবারের সদস্যরা পলাতক

গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বামীর পরিবারের সদস্যরা পলাতক

নোয়াখালীর সেনবাগের মোহম্মদপুর ইউনিয়ন থেকে হাছিনা আক্তার পাখি (৩০) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, স্বামীর মারধরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করায় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

তবে পুলিশ বলছে থানা এরকম কোন অভিযোগ আসেনি। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী আনোয়ার হোসেন (৩৮) ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে দক্ষিণ রাজারামপুর গ্রাম থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত হাছিনা আক্তার পাখি দাগনভূঁঞা উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নের বেটারপাড়া গ্রামের আবু তাহেরের মেয়ে। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ের জননী।

নিহতের চাচাতো ভাই ইউনুছ অভিযোগ করে বলেন, ১২ বছর পূর্বে সেনবাগের মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজারামপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে আনোয়ারের সাথে পাখির বিয়ে হয়। বিয়ের পর বিভিন্ন অযুহাতে তাকে মারধর করতো আনোয়ার। সে কোন কাজ করতো না দেখে কয়েক মাস আগে তার ভাই ও শ্বশুর মিলে তাকে একটি সিএনজি কিনে দেয়। এরপরও বিভিন্ন সময় টাকার জন্য আনোয়ার পাখিকে মারধর করতো।

সবশেষ গাড়ীর লাইসেন্স করার টাকার জন্য পাখিকে চাপ দেয় আনোয়ার। দু’দিন আগে পাখির বাবা আনোয়ারকে বিশ হাজার টাকা দেয়, কিন্তু তাতেও আনোয়ার ক্ষান্ত হয়নি সে আরো টাকার জন্য পাখিকে মারধর করে।

ইউনুছের দাবী বুধবার পাখি থানায় গিয়ে তাকে মারধরের ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে এবং তার একটি কপি বাড়ীতে নিয়ে আসে। এ ঘটনার জের ধরে রাতে আনোয়ার বাড়ীতে এসে কপিটি ছিঁড়ে আগুনে পুঁড়িয়ে পেলে এবং পাখিকে মারধর করে হত্যা করে ঘরের মধ্যে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়।

সেনবাগ থানার (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, নিহত হাছিনা আক্তার পাখির কোন লিখিত অভিযোগ আমরা পাইনি। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password