গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে অন্যত্র পাচার করার সময় ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রির ১৮বস্তা চাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের কোগাড়িয়া এলাকা থেকে বৈরাগীহাট পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ এসব চাল উদ্ধার করে। খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাজির হোসেন, ক্যাপটেন মাহি ও উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা স্বপন কুমার বৈরাগীহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ছুঁটে আসেন।
জানাগেছে, স্থানীয় চাউলের ডিলার জাহিদুল ইসলামের গোডাউন থেকে অটোভ্যানে চালগুলো অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ দেখে এক ব্যক্তি দৌড়ে পালিয়ে যায়। এসময় পুলিশ সদস্যদের সন্দেহ হলে তাঁরা প্রতিটি ৩০ কেজি হিসেবে ১৮ বস্তা চালসহ অটো চালক জাহিদুল ইসলাম (৪৫) কে আটক করে। উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাজির হোসেন আটক অটোচালক জাহিদুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলেন, ডিলার জাহিদুলের গোডাউনের সামনে থেকে অপরিচিত ৫ জন লোক চালগুলো সাপমারা নিয়ে যাওয়ার কথা বলে অটোবাইক ভাড়া করে এর মধ্যে ১ জন অটোভ্যানে চালের সাথে উঠে, পথিমধ্যে পুলিশ দেখে সে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে বৈরাগীহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ডিলার জাহিদুল ইসলাম (৪২) কে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি বলেন, কার্ডধারীদের মাঝে এসব চাল ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে। এরপর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট নাজির হোসেন, ক্যাপটেন মাহি ও উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা স্বপন কুমার ডিলার জাহিদুল ইসলামের গোডাউন পরিদর্শন করেন। এতে দেখা যায়, মাষ্টার রোল ও স্টক অনুযায়ী চাল ঠিক আছে। কিন্ত প্রশাসনের সন্দেহ হলে অটো চালক জাহিদুল ও ডিলার জাহিদুল ইসলামকে আটকের নির্দেশ দেন।
আটক অটোভ্যান চালক জাহিদুল ইসলাম (৪৫) উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের পলুপাড়া গ্রামের ইবা শেখের পুত্র এবং আটক চাউলের ডিলার জাহিদুল ইসলাম (৪২) উপজেলার সাপামারা ইউনিয়নের চক রহিমাপুর গ্রামের মৃত সোনা মিয়ার পুত্র।
বৈরাগীহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মিলন চ্যাটার্জী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন