বোধবার (৬সেপ্টেম্বর) শুভ জন্মাষ্টমী, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি। ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে মথুরায় কংসের কারাগারে জন্ম নিয়েছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ।
পরমেশ্বর ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্ম উতসব উপলক্ষে আজ বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ তিতাস উপজেলা শাখার যৌথ উদ্যগে তিতাস উপজেলার জগতপুর মহর্ষি মনোমোহন আশ্রমের "দয়াময়" মন্দির প্রাঙ্গনে শ্রী শ্রী কৃষ্ণের ৫২৫০ তম শুভ আবির্ভাব মহোৎসব পালিত হয়।
সকাল ১০ ঘটিকায় ডা. সুভাষ চন্দ্র মল্লিক কর্তৃক শ্রীমদ্ভভাগবত গীতা পাঠ এবং প্রদীপ প্রজ্জনের মধ্যে দিয়ে শুভ মহোৎসব অনুষ্ঠান শুরু হয় এবং যাত্রাবাড়ি শ্রী শ্রী মহাদেব মুক্তি শ্মশান কমিটির উদ্যোগে উৎসবমুখর পরিবেশে আনন্দ র্যালি করা হয়।
উক্ত মহোৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিতাস উপজেলার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ সুধীন চন্দ্র দাস। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ তিতাস উপজেলা শাখার সভাপতি শ্রী স্বপন কুমার সূত্রধর।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন শ্রী সুভাষ চন্দ্র সাহা, লনী চন্দ্র দেবনাথ, লক্ষণ কর্মকার, শ্রী নারায়ণ চন্দ্র সরকার, শ্রী কালাচাঁন দেবনাথ, শ্রী রনজিত দেবনাথ, রঞ্জন চন্দ্র দাস, রনজিত কুমার ভৌমিক এবং মনিন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন সরকারি কর্মচারী, সাংবাদিক, স্কুল শিক্ষক এবং তিতাস উপজেলের সনাতনী ধর্মালম্বী সর্বস্তরের জনগন।
শ্রীমদ্ভভাগবদ পঠাক হিসেবে ছিলেন, ডা. সুভাষ চন্দ্র মল্লিক গোস্বামী( সভাপতি জগতপুর মহর্ষি মনোমোহন আশ্রম,) শ্রী হারাধন চন্দ্র বিশ্বাস ( প্রাক্তন শিক্ষক জগতপুর সাধনা উচ্চ বিদ্যালয় এবং শ্রী সনজিত চন্দ্র দাস।
প্রধান অতিথি শ্রী সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, সনাতনীদের জাতপাত বেড়াজাল থেকে বেড়িয়ে এসে সঠিক ভাবে ধর্মচর্চা করতে হবে। সকলকে ধর্মের নিগূঢ় তত্ব সম্পর্কে সঠিক ধরানা থাকতে হবে তবেই একটি সুন্দর সমাজ গড়ে উঠবে। সবইকে গীতা চর্চার মাধ্যমে গীতা জ্ঞান অর্জন করতে হবে। তিনি আরও বলেন আমরা যদি পবিত্র গীতার সাতশত শ্লোক পাঠ করি এবং ব্যক্তি জীবনে চর্চা করি তাহলে আমরা জাতপাতের বেড়া জাল থেকে বেড়িয়ে আসবো। এছারাও তিনি হিন্দু ধর্মীয় গ্রন্থ থেকে শ্রী কৃষ্ণের লীলা ব্যখা করেন।
ডা. সুভাষ চন্দ্র মল্লিক বলেন, শ্রী কৃষ্ণের আার্বিভাব হয়েছেন দুষ্টের দমন এবং সৃষ্টির পালনের জন্য। আমরা যদি ভগবান মুখ নিঃসৃত এই গীতা জ্ঞান সবার মাজে ছড়িয়ে দিতে পারি তাহলে সমাজের অপরাধ অপকর্ম অনেকাংশ কমে যাবে। এবং সকল পিতামাতার উচিত তাদের সন্তানদের সঠিক ধর্মীয় শিক্ষায় সুশিক্ষিত করা।
সর্বশেষ ধর্মীয় সংগীত এবং শ্রী কৃষ্ণের বাল্য লীলা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন