বরফ থেকে যেন বেরিয়ে আসছে তাজা রক্ত। চারপাশে লাল লাল ছোপ। এমনই এক ভয়ঙ্কর ছবি শেয়ার করেছেন ইউক্রেনের বিজ্ঞানীরা। ইউক্রেনের শিক্ষা ও বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজে সেই ছবি শেয়ার করা হয়েছে। এন্টার্কটিকার উত্তরের অংশে দেখা গেছে এমন বরফ, যাকে ‘ব্লাড স্নো’ বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এই ধরনের বরফ দেখা যাচ্ছে এন্টার্কটিকার গ্যালিন্ডেজ আইল্যান্ডে। তবে এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এটি আসলে এক প্রাকৃতিক কারণেই হয়েছে। ‘ক্ল্যামাইডোমোনাস নিভালিস’ নামে এক ধরনের শ্যাওলার জন্যই এই লাল রঙ দেখা যাচ্ছে বরফে।
জানা গেছে, প্রবল ঠাণ্ডাতেও বেঁচে থাকতে পারে এই শ্যাওলা। তাই মূলত মেরু অঞ্চলে ও পার্বত্য অঞ্চলে এই শ্যাওলা দেখা যায়। শ্যাওলার ক্লোরোপ্লাস্টে রয়েছে ‘ক্যারোটিনয়েড’। আর তার জেরেই এই লাল রঙ হয়। ঠিক যে ‘ক্যারোটিনয়েড’-এর জন্য কুমড়ো বা গাজরের রঙ কমলা হয়।
এই ধরনের শ্যাওলা যখন প্রচুর পরিমাণে সূর্যের আলো পায়, তখন এই ‘ক্যারোটিনয়েড’ তৈরি হয়। এন্টার্কটিকায় এখন গ্রীস্মকাল। তাই শ্যাওলা গুলো লাল হয়ে যাচ্ছে।
তবে এই লাল রঙের একটা খারাপ দিক আছে। এই ধরনের শ্যাওলা বেশি থাকলে বরফ সূর্যের আলো প্রতিফলিত করতে পারে না। ফলে দ্রুত বরফ গলে যায়। অর্থাৎ উষ্ণায়ণের পথ প্রশস্ত করে এই রক্ত-রঙের শ্যাওলা।
তবে এবারই প্রথম নয়। এর আগেও এই ধরনের শ্যাওলা দেখা গেছে মেরু অঞ্চলে। এটা শুধু দেখতেই লাল নয়, এর গন্ধ নাকি অবিকল তরমুজের মত।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন