ধর্ষণের বিচার পেতে আর বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হবে না। আদালতে ‘তারিখের পর তারিখ’ যাওয়ার দিন শেষ হতে চলেছে। অন্তত, ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে এবার থেকে ধর্ষকরা তাড়াতাড়ি শাস্তি পাবে।
ধর্ষণের মতো যাবতীয় অপরাধের দ্রুত নিষ্পত্তি করতে এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে একাধিক বিল পাস করাল অন্ধ্রপ্রদেশের জগনমোহন রেড্ডির সরকার। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ‘দিশা আইন’। ওই আইনে বলা আছে, অভিযোগ জমা পড়ার ২১ দিনের মধ্যেিবিচার সেরে সাজা নিশ্চিত করতে হবে।
শুক্রবার অন্ধ্রপ্রদেশের বিধানসভায় পাস হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ ফৌজদারি সংশোধনী বিল। যার পোশাকি নাম ‘দিশা’। ওই আইনে বলা হয়েছে, ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার ২১ দিনের মধ্যে অপরাধীকে ফাঁসিতে ঝোলাতে হবে।
নতুন ওই নিয়ম অনুযায়ী, ধর্ষণে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সাত দিনের মধ্যে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করতে হবে। উপযুক্ত প্রমাণ সংগ্রহের পর ১৪ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে বিচারপ্রক্রিয়া। অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হলে ২১ দিনের মধ্যে ফাঁসিতে ঝোলাতে হবে।
একই দিনে নারীদের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিলে ছাড়পত্র দিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ মন্ত্রিসভা। এই আইন অনুযায়ী, নারী এবং শিশুদের বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধের বিচারের জন্য বিশেষ আদালত গঠন করা হবে। প্রতিটি জেলায় এই বিশেষ আদালত স্থাপন করা হবে।
নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ ছাড়া অন্য কোনো মামলার বিচার করবে না এই আদালত। এই আদালতগুলোতে ধর্ষণ, গণধর্ষণ, অ্যাসিড হামলা, ধাওয়া করা, যৌন হয়রানির মতো মামলাগুলোর বিচার হবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ বা ইমেইলের মাধ্যমে যদি কোনো নারীকে হেনস্তা করা হয়, সেক্ষেত্রেও অপরাধী কড়া শাস্তি পাবে। তাদের বিচারও করবে এই বিশেষ আদালত। সেজন্যও বিশেষ আইন আনছে অন্ধ্রপ্রদেশ। এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে ২ থেকে ৪ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। সেই সঙ্গে পকসো আইনেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। পকসো আইনে আগে ন্যূনতম ২ বছরের জেল হত। তা বাড়িয়ে এখন পাঁচ বছর করা হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন