আন্তর্জাতিক ডেস্ক- সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্বে প্রতিবাদ করায় ভারতের জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যলয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে।
রোববার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মুখোশ পরে কয়েকজন যুবক এ হামলা চালায়। হামলায় ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা সুচরিতা সেন গুরুতর আহত হয়েছেন। এছাড়াও শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সন্ধ্যায় ৫০ জনেরও বেশি দুস্কৃতিকারী মাস্ক পরে শিক্ষার্থীদের ওপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। হোস্টেল ভবনেও তাণ্ডব চলে। কয়েকটি গাড়িও ভাংচুর করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় ঐশিকে উদ্ধার করে স্থানী এআইআইএমএস হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঐশী ঘোষ বলেন, মুখোশধারী দুষ্কৃতকারীরা আমার ওপর হামলা চালিয়েছে। আমার শরীর দিয়ে রক্ত ঝরেছে। আমাকে নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছে। আরও অনেকে আহত হয়েছেন। শিক্ষার্থীদের বাচাতে আসা শিক্ষকরাও হামলার শিকার হন।
জেএনইউ ছাত্র সংসদের অভিযোগ, হামলায় জড়িত অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ বা এবিভিপি। অবশ্য বিজেপি সমর্থিত ছাত্র সংগঠনটির পাল্টা দাবি বাম সংগঠনের সদস্যরা এ হামলা চালিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, জেএনইউ-এর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর এই নৃশংসতার তীব্র নিন্দা জানাই। এ ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ড বর্ণনার মতো কোনও শব্দ আমার জানা নেই।
উত্তরপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব বলেছেন, ‘জেএনইউ-তে যেভাবে মুখোশধারী অপরাধীরা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করা উচিত।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন