দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অস্বীকার করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং বোদা পাইলট গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক রবিউল আলম সাবুল।রোববার বিকালে স্কুল এন্ড কলেজের অফিস কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বোদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মকলেছার রহমান জিল্লু আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
রবিউল আলম সাবুল লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার কোন অবৈধ আয় নেই। যা আয় করেছি বৈধভাবে করেছি। ইতোপূর্বে আমি এনজিওতে চাকুরি করেছি। ঠিকাদারি করেছি। প্রাইভেট পড়িয়েছি। বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েছি। আমার স্ত্রী সরকারি চাকুরি করেন। আমি নিজে চাকুরি করি।তিনি বলেন, আমার এখানে প্রাথমিক শাখা নেই। তাই এই শাখায় শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেয়ার প্রশ্নই উঠে না। বর্তমান রেলপথ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন সভাপতি থাকাকালে চারজন এবং কাজী ফজলে বারী সুজা সভাপতি থাকার সময় শূন্যপদে সাধারণ শাখায় দুইজন, ডাবল শিফটে ১২ জন, কারিগরি শাখায় চারজন এবং কলেজ শাখায় নয়জনকে সরকারি বিধিমালা মেনেই নিয়োগ দেয়া হয়েছিল।
প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক আবেদনকারীর অংশগ্রহণে কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন ছাড়াই এ সকল শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। পরবর্তিতে এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিতে সাধারণ শাখায় একজন ও কলেজ শাখায় তিনজনকে নিয়োগ দেয়া হয়।তিনি আরও বলেন, একবার নয় দুবার নয় একাধিকবার আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। সব অভিযোগের তদন্তে আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। আশা করি এবারেও আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের কোন প্রমাণ সংশ্লিষ্টরা পাবেন না।
‘আমার ও আমার বিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করতে ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে নামে বেনামে এভাবে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। এবারের অভিযোগের তদন্ত শেষে আমি অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করবো। বিষয়টি আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করেছি’ যোগ করেন প্রধান শিক্ষক রবিউল আলম সাবুল।সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন