পুলিশের কঠোর নজরদারি ও হস্তক্ষেপে ফ্ল্যাট ভিত্তিক ম্যাসেজ পার্লার এবং ফিমেল এসকর্ট সার্ভিস কিছুটা কোনঠাসা হয়ে এবার শুরু হয়েছে অনলাইন এপসভিত্তিক পতিতাবৃত্তি।
হাই ফাইভ, হিট উয়ি, বিগো লাইভ এমনকি ফেসবুকেও আইডি খুলে বিজ্ঞাপন দিয়ে কাস্টমার জোগাড়ের চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। অনেকে বিভিন্ন নারীর ছবি ব্যবহার করে খুলছেন ফেইক প্রোফাইল। অনেক সময় হচ্ছে শুধুই প্রতারণা। ইন্টারকোর্স করার কথা বলে বিকাশে এডভান্স টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন কেউ কেউ।
মি. রবিউল্লাহ(ছদ্মনাম) নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করেন। তিনি গুগল প্লে স্টোর থেকে হাই ফাইভ এপসটি ডাউনলোড করে প্রোফাইল খোলেন। ইচ্ছে ছিলো একজন বন্ধু খুঁজে বের করা। এঞ্জেল উর্মি নামের এক আইডির সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়। মেয়েটি ঢাকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ম্যাথ এ অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী বলে পরিচয় দেন। ফোন নাম্বার আদান প্রদান হয়। ফোন কলে বলেন, তার পড়াশুনোর জন্য টাকা দরকার। সেই টাকা তিনি ফ্রিতে নিতে চান না। ইমোতে ভিডিও সেক্সের জন্য বিকাশে ৪,০০০টাকা পাঠাতে বলেন! এটাই নাকি আজকাল বাংলাদেশে ভিডিও সেক্স চ্যাটের রেট! তিনি এভাবেই পড়াশুনোর টাকা জোগাড় করেন!
মি. রবিউল্লাহ ওই এপটি আনইন্সটল করে দেন। যৌনতা আর পতিতাবৃত্তির বিজ্ঞাপনে সয়লাব ওই এপ এখন তারজন্য শুধুই ভয়ংকর অভিজ্ঞতা। পাননি সুন্দর সময় অতিবাহিত করার মতো একজনও বন্ধু!
অনলাইন ডেটিং এপসগুলোর উপর নিয়ন্ত্রণ না নিলে ওমন অভিজ্ঞতাপ্রাপ্ত লোকের সংখ্যা দিন দিন বাড়তেই থাকবে বলে মনে করে নেটিজেনরা। সেই সঙ্গে নারীদের ছবির অপব্যবহারও রোধ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন