ব্রণ বা ফুসকুড়ি নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তাগ্রস্থ! ঠিকঠাক চিকিৎসায় ব্রণ বা ফুসকুড়ির হাত থেকে মুক্তি মিলে ঠিকই তবে ত্বক হয়ে পড়ে নাজুক। কারণ বিভিন্ন ওষুধ ও ক্রিমের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ায় ত্বক আরো ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
এক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হলো প্রাকৃতিক উপায়ে এই সমস্যার সমাধান করা। আসুন জেনে নেয়া যাক সেই সমস্ত কার্যকরী ভেষজ উপায়গুলো সম্পর্কে…
১) পাতিলেবুর রস: যাদের ব্রণের পরিমাণ অত্যধিক বেশি তারা পাতিলেবুর রস দিনে দু’তিনবার ব্রণের জায়গাগুলোতে লাগান। তবে একটানা ১০ মিনিটের বেশি রাখবেন না। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
২) নিমপাতা খুব ভাল জীবাণুনাশক। তাই ব্রণ সারাতে নিমপাতা খুবই উপকারী। নিমপাতা বেটে সঙ্গে চন্দনের গুঁড়া মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এই মিশ্রণ ত্বকে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
৩) গোলাপ জলের নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণের দাগ কমে যায়। দারুচিনি গুঁড়োর সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এই মিশ্রণ ব্রণের ওপর লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রণের সংক্রমণ, চুলকানি এবং ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।
৪) পুদিনা পাতার রস করে নিয়ে সেটা দিয়ে আইস কিউব তৈরি করুন। ফুসকুড়ি ও ব্রণের এই আইস কিউব ঘষুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। এতে ফুসকুড়ি ও ব্রণের সংক্রমণ তো কমবেই সঙ্গে ত্বকের জ্বালা-পোড়া ভাবও দূর হবে।
৫) পাকা পেঁপে চটকে নিন (এক কাপের মতো)। এর সঙ্গে মেশান এক চামচ পাতিলেবুর রস এবং প্রয়োজন মতো চালের গুঁড়ো। মিশ্রণটি মুখসহ গোটা শরীরে লাগান। ২০ থেকে ২৫ মিনিট মাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। পেঁপে ছাড়াও ব্যবহার করতে পারেন ঘৃতকুমারীর রস।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন