রাজধানী তুরাগের ৫৩ নং ওয়ার্ডে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থেকে ভোটের হিসেব পাল্টে দিতে চান এ ওযার্ডের সাবেক মেম্বার ও প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মো: কফিল উদ্দিন। দল থেকে মনোনয়ন না পেয়েও দমে যাননি এ প্রবীণ নেতা।
শেষ পর্যন্ত ভোটে থেকে বিজয নিয়েই ঘরে ফেরার প্রত্যাশা তার। গতবার সামনে থেকে যাকে নির্বাচিত করে দিয়েছিলেন, একই দল থেকে মনোনয়ন পেয়ে তিনি এখন তার প্রতিদ্বন্ধী। তাকে এবার ছেড়ে দেওয়ার কথা পাকাপাকি থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা রক্ষা করেননি ক্ষমতার লোভে, এমন কথা জানিয়ে কফিল উদ্দিন প্রতিবেদককে বলেন, দল আমাকে মনোনয়ন দেয়নি। কিন্তু আমি নির্বাচিত হয়ে এ ওয়ার্ডটি আমার দলকে উপহার দিতে চাই। আমি নির্বাচনে আসাতে অনেকে হতাশ। কই? আমি নিজেতো হতাশায় ভুগি না, মানুষের সহযোগিতাই আমার ভরসা।
এ ওয়ার্ডে বিএনপি থেকে একজন শক্তিশালী প্রার্থী রয়েছেন। তার বিপরীতে আপনারা দল থেকে দুই জনে নির্বাচন করলে বিএনপির প্রার্থী সুবিধায় থাকবেন বলে অনেকে মনে করছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপির এ প্রার্থীকে আমি যেভাবে মোকাবেলা করতে পারবো তা আমার দলের প্রার্থীর পক্ষে সম্ভব নয়। প্রতিপক্ষের প্রার্থী দেখে নির্বাচনী প্রার্থী বা কৌশল ঠিক করতে হয়, আমার দল এখানে তা করেনি।
তবে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার বিষয়ে তিনি যে যুক্তি বা শর্ত দিয়েছেন তা বৃহত্তর উত্তরায় বেশ সাড়া ফেলেছে। তার প্রশ্ন উত্তরার অনেক ওয়ার্ডে দলের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করতে পারলে, তিনি কেনও পারবেন না। তাই সবাই সরে গেলে তিনিও সরতে রাজি।
দলের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করার বিষয়ে কফিল আরও বলেন, আমি গত উপ-নির্বাচনে এ ওয়ার্ড থেকে নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম। বলতে গেলে কাউন্সিলর নাসির সাহেব আমাকে শত শত মানুষের সামনে ওয়াদা করেছিলেন, সামনে তিনি আমাকে সমর্থন দিবেন। এখন উনি নিজেই প্রার্থী। উনি ওয়াদা রক্ষা করেননি। আমি উনার কথা বিশ্বাস করে ঠকেছি।
জানা যায়, সাবেক হরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হিসেবে সকলের কাছে বেশ গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে তার। তাই তার বিশ্বাসটাও বেশি। এ দিকে আওয়ামী লীগ থেকে দলের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করলে দল মনোনীত কাউন্সিলরের ভোটে নিশ্চিত ভাগ বসাবেন তিনি। এ নিয়ে অনেকে তাকে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছেন।
এ দিকে তুরাগের আরো দুটি ওয়ার্ডে দলের বাইরের প্রার্থী রয়েছেন। উত্তরার ৫১ নং ওয়ার্ডে দল মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করছেন সাবেক মেম্বার আবুল হোসেন। তিনি দলের নমিনেশন প্রত্যাশা করেও শেষ পর্যন্ত পাননি। ৫৪ নং ওয়ার্ডে নির্বাচন করছেন সোহেল শেখ।
তিনি কোনও ভাবেই মাঠ ছাড়বেন না বলে তার পারিবারিক সূত্র নিশ্চিত করছে। তবে তুরাগে, থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও একই ইউনিয়ন পরিষদের ২৫ বছরের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাশিম-এর নিজস্ব বড় ভোট ব্যাংক রয়েছে। যতদূর জানা যায়, তিনি বা তার পরিবারের লোকজন দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাবেন না।
মন্তব্যসমূহ (১) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন
Fayjul kabir Reply
4 years agoএগিয়ে যান।আমরা আপনার সাথেই ছিলাম আর থাকবো ইনশাআল্লাহ। জয় হবেই হবে।