ইরানি জেনারেল সোলাইমানিকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যার নিন্দা এবং মধ্যপ্রাচ্যে দাঙ্গা উষ্কে দেওয়ায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করে নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন সিটিতে ৭১টি বিক্ষোভ-সমাবেশ হয়েছে।
ইরান তথা মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি যুদ্ধ যেন শুরু করা নয় হয় সেজন্যে শনিবার এসব বিক্ষোভ থেকে কংগ্রেসের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। ‘যুদ্ধ নয়-শান্তি’, ‘যুদ্ধ নয়-উন্নয়ন’, ‘যুদ্ধ নয়-বন্ধুত্ব’, ‘নো জাস্টিস নো পীচ-ইউএস আউট অব মিডল ইস্ট’ ইত্যাদি স্লোগান ধ্বনিত হয় সমাবেশ থেকে।
ইরানি জেনারেলকে হত্যার সংবাদে ক্ষুব্ধ আমেরিকানরা হোয়াইট হাউজের সামনে, ইউএস সিনেটে সংখ্যালঘিষ্ট ডেমক্র্যাটিক পার্টির নেতা সিনেটর চাক শ্যুমারের বাসার সামনে, টাইমস স্কোয়ার, ট্রাম্প টাওয়ারের সামনে এবং জ্যাকসন হাইটসে ডাইভার্সিটি প্লাজায় বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন।
জাতীয়ভিত্তিক যুদ্ধ-বিরোধী কোয়ালিশন ‘এ্যাক্ট নাউ টু স্টপ ওয়ার এ্যান্ড য়েন্ড র্যাসিজম’র সমন্বয়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেই এসব কর্মসূচিতে বিপুলসংখ্যক আমেরিকান অংশ নেন।
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির মধ্যে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য সিনেটের মেম্বার জ্যাসিকা র্যামোজ বলেন, আমেরিকার ইতিহাস-ঐতিহ্যের পরিপন্থি আচরণে আন্তর্জাতিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে একঘরে করা হচ্ছে। এমন অবস্থার অবসানে রাজপথ এবং ক্যাপিটল হিলে একযোগে সোচ্চার থাকতে হবে। সামনের নভেম্বরের নির্বাচনে ব্যালট যুদ্ধে অ-আমেরিকান ট্রাম্পকে হঠাতে হবে।
সিনেটর চাক শ্যুমারের বাসার সামনের সমাবেশে বক্তৃতাকালে ব্যান ইনগ্রাহাম বলেন, ‘ইরাক যুদ্ধে জড়িয়ে বহু আমেরিকানকে প্রাণ দিতে হয়েছে। এখনও সেই খেসারত অব্যাহত রয়েছে। নতুন করে ইরানের সাথে যুদ্ধ লাগিয়ে আমেরিকাকে নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে নিপতিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রিপাবলিকানদের বরদাশত করা উচিত হবে না। হাউজে পাশ হওয়া ইমপিচমেন্টের রেজ্যুলেশন অনুযায়ী সিনেটেও ট্রাম্পকে উচ্ছেদের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’
হোয়াইট হাউজের সামনের বিক্ষোভ থেকে ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনা করে বলা হয়, ইরাক এবং ইরানে নতুন যুদ্ধ শুরুর অভিসন্ধি থেকে আরো ৩ হাজার মার্কিন সৈন্য পাঠানো হয়েছে। এটি কখনোই মানবিকতার পরিপূরক নয়। সামনের নভেম্বরের নির্বাচনে বিজয়ী হবার মতলবে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এ ধরনের গোয়ার্তুমি আমেরিকার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাকেও হুমকির মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে বলেও বক্তারা অভিযোগ করেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন