নরসিংদী প্রতিনিধি : নরসিংদীর পলাশে দুই ব্যবসায়ীসহ পাঁচজনকে নির্মমভাবে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা ও তাদের কাছে থাকা ব্যবসার এগারো লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। রবিবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের ইসলামপাড়া গ্রামের বাজার সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর পলাশ থানার ওসি তদন্ত সফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। গুরুতর আহতরা হলেন, ইসলামপাড়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে পাথর ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম (৩৮), কালীগঞ্জ বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী খাইরুল (৩২), জয়নাল আবেদীনের ছেলে মূসা মিয়া (৫৫) ও তার দুই ছেলে স্বাধীন (২১) এবং ইমন (১৯)।
এলাকাবাসী, প্রত্যক্ষদর্শী ও বাদীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রবিবার সন্ধায় পার্শ্ববর্তী কালীগঞ্জ বাজারে কাপড়ের দোকান বন্ধ করে পাথর ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম ও তার সহোদর ভাই কাপড় ব্যবসায়ী খাইরুল ইসলাম বাড়িতে যাওয়ার সময় পলাশ উপজেলার ইসলামপাড়া বাজারের পশ্চিমপাশে পৌঁছালে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাদের পথরোধ করে একই গ্রামের চিহ্নিত সন্ত্রাসী মুনসুর আলীর ছেলে হুজুর আলী (৪৫), হুজুর আলীর ছেলে শান্ত (২৪),
মৃত সামসুদ্দিসের ছেলে ফরিদ মিয়া (৪৩), ফরিদ মিয়ার ছেলে অভি (২১), সামসুদ্দিনের ছেলে রাসেদ (৩৬), জাহাঙ্গীরের ছেলে রাকিব (২৬), হাসেম মিয়ার ছেলে সুজন (২৬), মুন্না মিয়ার ছেলে অপূর্ব (২২), মৃত সবেতের ছেলে জুয়েল (২২) সহ অজ্ঞাত আরও ৫ থেকে ছয় জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের পথরোধ করে এবং এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাদেন গুরুতর আহত করে।
এ সময় তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসতে থাকলে একই গ্রামের মূসা মিয়া ও তার ছেলে ইমন ও স্বাধীনকে বেধড়ক কুপিয়ে ও ছুরি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে এবং কামরুল ও খাইরুলের সাথে থাকা এগার লাখ টাকা লুট করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
আহত ৫ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেছে। গুরুতর আহতদের অবস্থাগুরুতর আহতদের অবস্থা এখনও আশংকাজনক বলে জানিয়ছেন পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক। স্থানীয়রা জানান, এ ঘটনায় জড়িতরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী।
এর আগেও তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। সঠিক বিচার না হওয়ায় তারা দিন দিন বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এ ঘটনার পর থেকে ওই এলাকার স্থানীয়দের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে । এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ ইলিয়াছ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনার স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে এবং তদন্তের ভিত্তিতে আমরা পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন