নওগাঁ সদর উপজেলার কীর্তিপুর ইউনিয়নের জালম গ্রামের বসবাসরত মর্জিনার মেয়ে ববিতা বানুর প্রায় এক বছর আগে বিয়ে হয় নওগাঁর মান্দা উপজেলার গণেশপুর ইউনিয়নের সতিহাটের শামীম উদ্দীন মোল্লার ছেলে জাহিদ আলির সাথে। ববিতা বানুর বাবা গরিব হওয়ায় যৌতুকের কিছু টাকা বাকী রাখেন। এটাই বাধে বিপত্তি শুরু হয় নির্যাতন।
সর্বশেষ গত বুধবার (০৬ এপ্রিল) হতে পরদিন দুপুর ২ টা পর্যন্ত ১ লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবি করে মারপিট শুরু করে জাহিদ তার মা-বাবার প্ররোচনায়। যৌতুক পরিশোধ করতে না পারায় বিয়ের পর অধিকাংশ সময় তাকে বাপের বাড়ীতেই থাকতে হয়েছে। সর্বশেষ ৩০ হাজার টাকা পণ দিয়ে স্বামীর বাড়িতে পাঠানো হলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার উপর চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন ও মধ্যযুগীয় কায়দায় পৈশাচিক নির্যাতন। সেই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন। মেয়েটি নওগাঁ সদর হসপিটালে জরুরি বিভাগে ভর্তি আছেন। আজ রবিবার (১০ এপ্রিল) মান্দা থানা পুলিশ নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় ০২নং আসামি জাহিদ এর মা হাজেরা বেগম (৫৫) ও ৩নং আসামি জাহিদ এর বাবা শামীম মোল্লা কে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
মান্দা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, মামলার ২ ও ৩ নম্বর আসামি শশুর-শাশুড়িকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। ১ নম্বর আসামী জাহিদ মোল্লা পলাতক রয়েছে। আমরা তাকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করছি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন