বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ৩৫কিমি যানযট, বাড়ি ফিরা নিয়ে দুশ্চিন্তায় উত্তরাঞ্চলগামী মানুষ

বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ৩৫কিমি যানযট, বাড়ি ফিরা নিয়ে দুশ্চিন্তায় উত্তরাঞ্চলগামী মানুষ

ঈদকে সামনে রেখে মানুষ ঘরে ফিরতে মরিয়া হয়ে পরছে তাই অতিরিক্ত যানবাহন ও ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে উত্তরবঙ্গমুখী লেনের ৩৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ জুলাই) ভোর রাত থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করাতিপাড়া পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। বাড়ি ফিরতে পারবে কিনা তা নিয়েও অনেকের মনে রয়েছে দু’আশা।


তবে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মহাসড়কের করাতিপাড়া, রাবনা, রসুলপুর, পৌলি ও এলেঙ্গা এলাকায় যানজটে স্থবির হয়ে গেছে। মাঝে মাঝে ঢাকামুখী লেনে গাড়ি চললেও উত্তরবঙ্গমুখী গাড়ি আটকে রয়েছে। গণপরিবহন চললেও অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকের ওপরে যাতায়াত করছেন। যানজটের কারণে চালক ও যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ভোগান্তি অনেক বেশি হচ্ছে। এছাড়াও গরু নিয়ে উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকা অভিমুখী যাত্রা করা ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। সড়কেই কেটে যাচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

এ ব্যাপারে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত গনমাধ্যমকে বলেন, মহাসড়কে ভোর থেকে গাড়ির চাপ রয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানচলাচল স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছেন তিনি।

বাসচালক আলী বলেন, ১৪ দিন বাস বন্ধ থাকার পর ঈদ উপলক্ষে খুলে দিয়েছে। তাও আবার যানজট। এক কিলোমিটার এলাকা আসতে এক ঘণ্টা সময় লেগেছে। ঈদের আগে শুধু ভোগান্তি আর ভোগান্তি।

কাভার্ডভ্যান চালক শরীফ বলেন, গতকাল সোমবার পৌলি থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত যেতে আমার প্রায় ৬ ঘণ্টা সময় লেগেছে। রাতে মহাসড়ক স্বাভাবিক থাকলেও আজ মঙ্গলবার (২০ জুলাই) একই অবস্থা।১ টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঈদে যানজট নিরসনে মহাসড়কে ৬শ ৩০ জন পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়া দুই শতাধিক হাইওয়ে পুলিশ রয়েছে মহাসড়কটিতে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password