চুয়াডাঙ্গা শহরের মহিলা কলেজ পাড়া এলাকায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর নগ্ন ছবি তুলে অর্থ দাবির অভিযোগে ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে শহরের কেদারগঞ্জ ও এর আশপাশের এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় রাত তিনটার দিকে ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আটকরা হলেন, শহরের কেদারগঞ্জের গোলাম হোসেনের ছেলে জোবায়ের হোসেন জীম, মুন্সিপাড়ার কেতাব আলীর ছেলে মেহেদী হাসান রাকিব, পলাশপাড়ার আনোয়ারের ছেলে রায়হান রাজ, কেদারগঞ্জের আশরাফুল ইসলামের ছেলে ইমরান খান, জীবননগর বাসষ্ট্যান্ড পাড়ার আবু হোসেনের ছেলে সিমরান শেখ ও কেদারগঞ্জের মুনছুর আলীর ছেলে মারুফ হাসান আপন।মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, প্রায় ৮ মাস আগে ফেসবুকের মাধ্যমে শহরের সাদেক আলী মল্লিকপাড়ার স্কুলপড়ুয়া এক কিশোরী সঙ্গে জীমের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কের সূত্র ধরে গত ২৫ মার্চ জীমসহ আরো বেশ কয়েকজন ওই স্কুলছাত্রীকে মহিলা কলেজপাড়ার একটি বাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।
এসময় জীম ওই কিশোরীকে ধর্ষণ শেষে তার নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। এ ঘটনায় বাকী আসামিরা জীমকে সহযোগীতা করে।এরপর থেকেই ধারণকৃত ওইসব অশালীন ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেখিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের কাছে চাঁদা দাবি করে চক্রটি।
পুলিশ জানায়, ছবি ও ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ভুক্তভোগী মেয়েটির কাছে চাঁদা দাবি করতো চক্রটি। ভয় পেয়ে ওই স্কুলছাত্রী তাদের দাবি মতো টাকা ও স্বর্ণালংকার দিতে বাধ্য হয়। এরই মধ্যে নগদ ১৬ হাজার টাকা ও বেশ কিছু স্বর্ণাঅলংকার চক্রটির হাতে তুলে দেয় ওই কিশোরী।সোমবার নতুন করে আবারো ২৫ হাজার টাকা দাবি করে অভিযুক্তরা। পরে কোনো উপায়ন্ত না পেয়ে স্কুলছাত্রী পুরো বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। পরে পরিবারের সদস্যরা এসপি বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল রাতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। পরে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৬ জনকে আটক করা হয়। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, প্রাথমিক তদন্তে আটকদের ব্যাপারে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। মেয়ের বাবা বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ধর্ষণ, পর্নোগ্রাফী ও চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছেন। বাকী আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। অভিযুক্তদের মোবাইলফোন থেকে ধারণ করা নগ্ন ছবি ও ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন