শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তাউটির আঘাতে নিহত ৬

শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তাউটির আঘাতে নিহত ৬

প্রবল শক্তি নিয়ে ভারতের স্থলভাগে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় তাউটি। উপকূলীয় ছয় জেলায় তাণ্ডব চালিয়েছে এ সুপার সাইক্লোন। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে এ পর্যন্ত কর্নাটক রাজ্যে চারজন এবং গুজরাটে দুজন নিহত হয়েছেন। ঘূর্ণিঝড় তাউটিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কর্নাটক রাজ্যের ৭৩টি গ্রাম।

সেখানে ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। এর আগে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছিল, শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ওই ঝড়টি গোয়া থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার, মুম্বাই থেকে ৪৯০ কিলোমিটার ও গুজরাট উপকূল থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করার কথা।

শনিবার মধ্যরাত থেকে ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে তাউটির প্রভাবে ঝড়োবৃষ্টি শুরু হয়। মঙ্গলবার সকালে এটি গুজরাটের উপকূল, পোরবন্দর ও ভাবনগর জেলার মহুভা এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।  কিন্তু তার আগেই স্থলভূমিতে আছড়ে পড়েছে। ইতোমধ্যেই কেরল, গোয়া, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাটের উপকূলবর্তী অঞ্চলে রেডঅ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।

এর আগে তাউটির পথ অনুসরণ করে ১৯৩৩ ও ১৯৭৫ সালে দুটি ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছিল গুজরাটে। ১৯৭৫ সালের ঘূর্ণিঝড়ে গুজরাটে প্রাণ হারিয়েছিল চার হাজার মানুষ। এই আবহে তাউটের জেরে ক্ষতি যাতে বেশি না হয়, তার জন্য উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। তৈরি রাখা হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৫৩টি দলকে।

শনিবার এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আলোচনায় বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি সেই বৈঠকে নির্দেশ দেন, এই ঝড়ের কারণে যাতে করোনা চিকিৎসায় কোনো সমস্যা না দেখা যায়।

হাসপাতালগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে বাকি সব পরিষেবা যাতে দেওয়া হয়, সে কথা বলেন তিনি। ঝড়ের সময় দলের কর্মীদের সাধারণ মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়ে টুইট করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীও।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password