যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে আজ বৃহস্পতিবার থেকে ৫ দিনব্যাপী বই মেলা শুরু হচ্ছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলার ৩০ বছর পূর্তিকে সামনে রেখে ২৮ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে মুক্তধারা ফাউন্ডেশন আয়োজিত এ বই মেলা। ৩০তম নিউ ইয়র্ক বাংলা বইমেলার এবারের স্লোগান নির্ধারণ হচ্ছে ‘বই আমার শক্তি, বই আমার মুক্তি’।
মার্কিন সংবাদমধ্যম বাংলা প্রেস এ খবর জানিয়েছে। মেলায় উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশের কবি আসাদ চৌধুরী এবং প্রধান অতিথি হিসেবে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ হোসেনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক কবি মিনার মনসুর ও লেখক আনিসুল হককে।
লাগর্ডিয়া এয়ারপোর্টের ম্যারিয়াট হোটেলের হলরুমে ২৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। দর্শক-পাঠকদের সরাসরি অংশগ্রহণে বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় শুরু হয়ে রাত ১১টা পর্যন্ত চলবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এছাড়াও থাকবে আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে দুটি বিশেষ আয়োজন। থাকবে আমন্ত্রিত শিল্পীদের সংগীত পরিবেশনা। নিউইয়র্ক সিটির কোভিড নীতিমালা মেনেই সশরীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠান করার প্রস্তুতি চলছে বলে ৩০তম নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলার আহ্বায়ক ড. নূরুন নবী জানিয়েছেন।
বইমেলার বাকি ৪ দিন ২৯ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত বইমেলা চলবে জ্যাকসন হাইটসের ৭৭ স্ট্রিট ও ৩৭ এভিনিউ কর্নারে অবস্থিত জুইশ সেন্টারে। প্রতিদিন দুপুর ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বইমেলা চলবে। ইতিমধ্যে বইমেলায় অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ থেকে অনন্যা, আহমদ পাবলিশিং হাউস, কথাপ্রকাশ, ইত্যাদি, নালন্দা, বাতিঘর ও অন্বয় প্রকাশের প্রতিনিধিরা। বইমেলা উপলক্ষে গত ২৭ অক্টোবর বুধবার সন্ধ্যায় মিট দ্যা প্রেস অনুষ্টানে বক্তব্য রেখেছেন আয়োজকরা।
নগরের কুইন্স প্যালেসে আয়োজিত মিট দ্যা প্রেস অনুষ্টানটি পরিচালনা করেন লেখক, সাংবাদিক হাসান ফেরদৌস। ৩০তম বইমেলার আয়োজন ও প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলেছেন নূরুন নবী, ফেরদৌস সাজেদীন, মনিরুল হক, হারুন হাবীব, জাফর আহমেদ রাশেদ, হুমায়ুন কবির ঢালী, সাইফুর রহমান চৌধুরী, গোলাম ফারুক ভুঁইয়া, মুক্তধারার কর্ণধার বিশ্বজিত সাহা প্রমুখ। বইমেলা উপলক্ষে ঢাকা থেকে প্রকাশকরা এরমধ্যেই নিউ ইয়র্কে এসে পৌঁছেছেন।
মিট দ্য প্রেস অনুষ্টানে তাঁরা বলেছেন, দেশের বাইরে নিউ ইয়র্ক বইমেলা নানা কারনে বৈশিষ্ট্যময় হয়ে উঠেছে। এ মেলায় তাঁদের যোগদান প্রবাসে বাংলা ভাষা লালন করা জনসমাজের সাথে সংযোগ সৃষ্টির গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছে বলে তারা উল্লেখ করেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন