ফ্রান্সের উত্তরে ভ্যালেন্সিয়েনেস শহরের রাস্তায় অবৈধ অভিবাসীর হাতে এক নারী যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার স্থায়ী ঠিকানা ছাড়াই ৩০ বছর বয়সী ওই অবৈধ অভিবাসীর বিচার করা হয়। দ্রুত বিচারে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। যৌন নিপীড়নের আগে ওই ব্যক্তি মাত্র দুই মাস হয় ফ্রান্সে এসেছেন। গত রবিবার (৩১ জুলাই) ভ্যালেন্সিয়েনেসের একটি বারের কাছে পাবলিক হাইওয়েতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী জানান, ভোর ৪টায় যখন তিনি এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে বার থেকে বের হচ্ছিলেন তখন, হাতে বিয়ার ধরে থাকা এক ব্যক্তি তাকে উত্ত্যক্ত করছিল। তিনি আমাকে বেশ কয়েকবার বলেছিলেন, আমি সুন্দর। আমি বিব্রত হচ্ছিলাম। তিনি আমার ফোন নম্বর চেয়েছিলেন এবং আমার সঙ্গে ফ্লার্ট করতে শুরু করেছিলেন', মহিলা আরো যোগ করেন।
তিনি সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে দূরে ঠেলে দেন; কিন্তু তিনি থামেন না। তারপর তিনি জোর করে ওই নারীর কবজি ধরেন, কাঁধে তার হাত রাখেন ও চুম্বন করেন এবং তার শরীরে হাত দেন। এরপর পৌর পুলিশ সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে দ্রুত কাছের একটি রাস্তা থেকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ স্টেশনে আতঙ্কিত ওই তরুণী পুলিশকে জানান কী ঘটেছে। ডাক্তারি পরীক্ষায় এক দিনের অক্ষমতার সঙ্গে পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস উল্লেখ করা হয়েছে। আদালতে, আরব ভাষায় একজন অনুবাদকের মাধ্যমে, অপরাধী সেই সন্ধ্যায় ভদকা এবং বিয়ার পান এবং গাঁজা ব্যবহার করার কথা স্বীকার করেন।
পরে তিনি আদালতে অপরাধের দায় শিকার করেন। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি তাকে চুমু খেয়েছিলাম, তবে বন্ধুত্বের কারণে সে রাজি হয়েছিল। এমনকি তিনি আমাকে তার নম্বরও দিয়েছেন’, দাবি করেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। অভিযুক্ত লোকটি মাত্র দুই মাস হয় ফ্রান্সে এসেছেন। তিনি অবৈধভাবে বন্ধুদের সঙ্গে থাকছিলেন।
প্রসিকিউটর তাকে আটকে রেখে পাঁচ মাসের কারাদণ্ডের আবেদন করেন। আদালত অবশেষে আসামিকে পাঁচ মাসের স্থগিত দণ্ডাদেশ দেন এবং যৌন অপরাধের ফাইলে তার নাম নিবন্ধনের নির্দেশ দেন। অ-আর্থিক ক্ষতির জন্য তাকে ওই নারীকে ৩০০ ইউরো দিতে হবে।
সূত্র : রিমিক্স নিউজ।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন