ঝালকাঠির এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে পরিবার নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এক তরুণী (১৯)। ধর্ষণের মামলা হওয়ার পরও গ্রেপ্তার না হওয়ায় চেয়ারম্যান ও তার লোকজন হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তরুণী। এমতাবস্থায় চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় না করা হলে যেকোনো সময় ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সদস্যদের তিনি মেরে ফেলতে পারেন বলে অভিযোগ করেন।
আজ সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তরুণী। এ সময় তার মা উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে তরুণী বলেন, আমি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার সরই গ্রামের বাসিন্দা। আমার বাবা একজন কৃষক। একই উপজেলার তিন নম্বর কুলকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আক্তারুজ্জামান বাচ্চু (৪৫) আমাদের পূর্ব পরিচিত।
সেই সুবাদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে তিনি আমার পরিবারের সম্মতিতে গত ১২ ডিসেম্বর আমাকে ঢাকায় দক্ষিণ বনশ্রীর একটি ফ্ল্যাটে উঠান। ওই বাড়িতে মোরশেদা নামে এক নারী ছিলেন। মোরশেদার সহায়তায় চেয়ারম্যান সেদিনই আমাকে ধর্ষণ করেন। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে তারা ধর্ষণের দৃশ্য নেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এরপর কয়েকবার ধর্ষণ করলে আমি গর্ভবতী হই।
এতে চেয়ারম্যান বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার গর্ভপাত ঘটান। ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, গর্ভপাতের পর দিনের পর দিন বিয়ে না করেই চেয়ারম্যানের অত্যাচার বেড়ে যায়। একপর্যায়ে গত ১০ ফেবব্রুয়ারি আমি বাদী হয়ে খিলগাঁও থানায় বাচ্চু চেয়ারম্যান ও তার সহযোগী মোরশেদাকে আসামি করে একটি মামলা করি। এরপর থেকে বাচ্চু চেয়ারম্যান আরো বেপরোয়া হয়ে যান। মামলার পরও গ্রেপ্তার না হওয়ায় সে ও তার সহযোগীরা আমাকে এবং আমার পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।
তাদের ভয়ে আমরা পালিয়ে বেড়াচ্ছি। তাকে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি না করা হলে যেকোনো সময় আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের তিনি মেরে ফেলতে পারেন। তাই এ ব্যাপারে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপির সহায়তা কামনা করেন তরুণী।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন