লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করে হামলা ও বসতঘর ভাঙচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের বিরুদ্ধে। এ হামলায় দুই নারী আহত হয়েছেন। এ সময় এলাকাবাসী তাদের বাধা দিলে বিএসএফ ককটেল বিস্ফোরণ করে পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে।
গতকাল সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পকেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন উপজেলার পকেট এলাকার আয়নালের মা মনোয়ারা বেগম ও শাশুড়ি রেনু বেওয়া। জানা গেছে, সোমবার রাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী ফুলবাড়ী ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ওই এলাকার আয়নাল হকের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে।
এতে বাধা দিলে বিএসএফের হামলায় মনোয়ারা ও রেনু বেওয়া আহত হন। পরে এলাকাবাসী বাধা দিলে বিএসএফ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। আহত মনোয়ারা বেগম বলেন, বিএসএফ বাংলাদেশে প্রবেশ করে আমার ছেলের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় ঘরের টিনের বেড়া, দরজা ভাঙচুর করে। আহত রেনু বেওয়া বলেন, আমার মেয়ে জামাই নরসিংদি ইটভাটায় কাজ করতে গেছে।
তাই আমি তাদের বাসায় আছি। সোমবার রাতে বিএসএফ বাংলাদেশে প্রবেশ করে হামলা ও ভাঙচুর করেছে। স্থানীয় বাসিন্দা রাজু ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, বিএসএফ সদস্যরা মদ খেয়ে বাংলাদেশের অংশে প্রবেশ করে এসব উল্টাপাল্টা কাজ করে। বাড়িতে পুরুষ না থাকায় তারা নারীদের ওপর আক্রমণের চেষ্টা করে। আমরা ধাওয়া করলে তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সিংগীমারী বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবি ক্যাম্পের নায়ক সুবেদার মফিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসেছি। এ বিষয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এ নিয়ে আগামীকাল বুধবার পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে ৬১ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র তিস্তা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর হাসান মো. শাহরিয়ার মাহমুদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছি। আজ মঙ্গলবার লিখিত প্রতিবাদ জানানো হবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন