৩ নভেম্বর বুধবার সিলেট মহানগরে অবস্থিত সব রেষ্টুরেন্ট বন্ধ ঘোষণা করেছে সিলেট জেলা হোটেল মালিক শ্রমিক ইউনিয়ন।
মঙ্গলবার ( ২ নভেম্বর ) সন্ধ্যায় সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন নেতৃবৃন্দ।
জিন্দাবাজারের ভোজনবাড়ি রেস্টুরেন্ট বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে তারা আন্দোলনের জন্য মাঠে নামেন। বিকেল ৫টার দিকে হোটেল মালিক ও শ্রমিক নেতাকর্মীরা জিন্দাবাজার পয়েন্ট অবরোধ করেন। এসময় চারদিক যানজটে স্থবির হয়ে পড়ে। এমনকি এর প্রভাব পড়ে পুরো নগরীজুড়ে। অবরোধকালে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনায় ব্যস্ত দেখা গেছে।
পরে ঘন্টাখানেক অবরোধ শেষে হোটেল মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভ মিছিল নিযে চৌহা্ট্টাস্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হন।
এই সমাবেশ থেকেই তারা হোটেল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ জানান, ভোজনবাড়ি রেস্টুরেন্ট খুলে না দেয়া পর্যন্ত সিলেটের সব হোটেল রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকবে।
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে সিলেট নগরীর জিন্দাবাজার এলাকার তিনটি রেস্টুরেন্টে অভিযান চালায় র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত। অভিযানে পঁচাবাসি খাবার পাওয়ায় এবং ২০১৯ সাল থেকে লাইসেন্স নবায়ন না করায় সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় বলে জানান নির্রাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু। ভোজনবাড়ির দুজন কর্মচারিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকের বিষয়টিও স্বীকার করেন তিনি।
এছাড়াও একই এলাকার পানসি ও পাঁচভাই রেস্টুরেন্টকে একই অভিযোগে ৮০ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর প্রতিবাদে বিকাল ৫টার দিকে জিন্দাবাজার পয়েন্ট অবরোধ করেন মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।
এদিকে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির হলরুমে দুপুরের দিকে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, চেম্বার সভাপতি এটিএম শোয়েব, সিলেট রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতি ও সিলেট ক্যাটারার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বুধবার থেকে সব রেস্টুরেন্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের পাশাপাশি সকালে রেস্টুরেন্ট মালিক ও কর্মচারীদের শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন