বিএনপির সমাবশে চট্টগ্রামে পথে পথে হামলার অভিযোগ

বিএনপির সমাবশে চট্টগ্রামে পথে পথে হামলার অভিযোগ

বিএনপির গণসমাবেশ কেন্দ্র করে সরগরম বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। সমাবেশ শুরু হবার কথা বিকাল ৩ টায় অথচ সকাল থেকেই পলোগ্রাউন্ড মাঠে সমাগম ঘটতে থাকে নেতাকর্মীদের। আশপাশের জেলাগুলো থেকে অনেকে চলে আসেন গতরাতেই। নেতাকর্মীদের অভিযোগ, পথে পথে সরকারদলীয় কর্মীদের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, পুলিশের গুলিতে ৫ নেতাকর্মী নিহত ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আজ বুধবার চট্টগ্রামে বিভাগীয় সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি।

সকাল থেকে বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীরা চট্টগ্রামে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করলেও পথে পথে পুলিশ ও সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের বাধার সম্মুখীন হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেছেন। আজ বুধবার দুপুর ২টায় চট্টগ্রাম নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, সাদা পোশাকে ডিবি ও থানা পুলিশ তাদের গাড়ি চেক করেছে। গাড়ির কাগজপত্র চেক করার নামে হয়রানি করা হয়েছে।

এতে বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মী সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হতে পারেননি। সমাবেশে আসা অনেকগুলো গাড়িকে মাঝপথে ফেরত পাঠানো হয়েছে। খাগড়াছড়ি পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান জানান, সকালে তারা যখন রওনা দেন তখন মাটিরাঙা, মানিকছড়ি ও মিরসরাইয়ের বারইয়ারহাটের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ ও যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের গাড়ি আটকায়। তারা কোথায় যাবেন, কেন যাবেন এবং তাদের পরিচয় জানতে চেয়েছেন।

আব্দুল মান্নান দাবি করেন খাগড়াছড়ি থেকে ৫ হাজার মানুষ রওনা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫ হাজারের মতো মানুষ পৌছেছেন। বেশিকিছু গাড়ি খাগড়াছড়ি থেকে বের হতে দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া মাটিরাঙায় কিছু গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের দক্ষিণ শাখার সভাপতি এবং টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সদস্য আবু সিদ্দিক জানান, তারা সকালে রওনা দেওয়ার পর লোহাগড়া উপজেলার আমিরাবাদ এলাকায় পৌঁছানোর পর পুলিশ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা তাদের আটকে দেয় এবং গাড়ির কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়।

পরে কয়েকটি গাড়ি ছেড়ে দিলেও বেশকিছু গাড়ি আটকে দেয়। তবে তাদের ওপর কোনো হামলার ঘটনা না ঘটলেও নানাভাবে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ করেন তারা। লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা চৌধুরী জানান, সীতাকুণ্ড ও মিরেরসরাইয়ের বারইয়ারহাট থেকে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা তাদের হেনস্থা করেছে। এ ছাড়া গতকাল রাতে তারা যে হোটেলে ছিলেন সেখানে পুলিশ তাদের তল্লাশি করেছে এবং শারীরিকভাবে হয়রানি করেছে বলে তারা অভিযোগ করেন।

আজ সকাল থেকে পোস্টার-প্ল্যাকার্ড হাতে বিএনপির নেতাকর্মীরা চট্টগ্রামের সিআরবি, টাইগারপাস, কদমতলী মাঠ ও পলোগ্রাউন্ডের আশেপাশে জড়ো হতে শুরু করে। বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী জড়ো হওয়ার কারণে পলোগ্রাউন্ড এলাকায় বিভিন্ন সড়কে যানচলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।

সেখানে পুলিশ মোতায়েন আছে এবং ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও কৃষকদলসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে পলোগ্রাউন্ডে জড়ো হতে শুরু করেছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ বিভাগ) নোবেল চাকমা বলেন, রাস্তায় যাতে কোনো বাধা সৃষ্টি না হয় এবং কোনো ধরনের অরাজকতা না হয় সে বিষয়ে পুলিশ কাজ করছে। যদি কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে তাহলে পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password