বাংলাদেশের সংগীত শিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে ভারতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। টাকা নিয়েও গান গাইতে না যাওয়ার অভিযোগে বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণাসহ একাধিক মামলায় এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর আদালত।
১৫ বছর আগের এই মামলায় তার বিরুদ্ধে চতুর্থবারের মতো পরোয়ানা জারি হলো। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গের শক্তিশঙ্কর বাগচী নামের এক ইভেন্ট অর্গানাইজারের সঙ্গে মমতাজের চুক্তি হয়েছিল।
সঙ্গীতশিল্পী এবং ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরের আদালত।
প্রতারণাসহ বিশ্বাসভঙ্গ করার অভিযোগ উঠেছে মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে। টাকা নিয়েও অনুষ্ঠান যাননি বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বুধবার (৯ আগস্ট) এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বহরমপুর আদালতের মুখ্য বিচারক অলোকেশ দাস। প্রায় ১৫ বছর আগে মমতাজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এ নিয়ে ওই মামলায় চতুর্থবারের জন্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হলো।
৯ আগস্ট আদালতে হাজির থাকার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছিল মমতাজকে। কিন্তু তিনি ওই দিন আদালতে হাজির না থাকায় এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। জানা গেছে, মমতাজের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে মামলা করেন শক্তিশঙ্কর বাগচি নামের এক ইভেন্ট অর্গানাইজার। আগে পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশ নিতেন মমতাজ।
শক্তিশঙ্কর বাগচির অভিযোগ, ২০০৪ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য মমতাজের সাথে তার লিখিত চুক্তি হয়। চুক্তি অনুসারে ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে বহরমপুরের একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল মমতাজের। ওই অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য মমতাজকে ১৪ লাখ টাকা দেয়া হয়।
কিন্তু মমতাজ টাকা নিয়েও অনুষ্ঠানে যাননি। ওই টাকা ফেরত চাইলেও তা দিতে অস্বীকার করেন মমতাজ। এ জন্য হেনস্থার মুখে পড়তে হয় শিবশঙ্কর বাগচিকে। থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ নিতে না চাইলে বাধ্য হয়ে বহরমপুর আদালতের যান তিনি। আদালতে মমতাজের বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণাসহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়।
ওই মামলায় ২০০৯ সালে মমতাজের বিরুদ্ধে সমন জারি করে আদালত। সমন কার্যকর না করায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। তার মধ্যে ওই আদালত থেকে আগাম জামিন নেন মমতাজ। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টেও যান শিবশঙ্কর বাগচি। জানা গেছে, মামলায় সহযোগিতা করার কথা বলেই তিনবার জামিন পান মমতাজ।
কিন্তু চলতি বছরে হাজিরা আবারো এড়িয়ে যান তিনি। তারপরেই আবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। শিবশঙ্কর দাবি করেন, নিজের নাম বদল করে আদালতকে মিথ্যা কথা বলছেন ওই গায়িকা। বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্রে জানা গেছে, মমতাজ এখন কানাডায় আছেন।
সূত্র : এই সময়
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন