নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বিশা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলামের কাছ থেকে চুরি হওয়া মোটর সাইকেল উদ্ধার করেন আত্রাই থানা পুলিশ।
আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ী থেকে চোরাই মোটর সাইকেলটি চুরির হওয়ার প্রায় ৪ মাস পর বিশা ইউনিয়ন পরিষদের পাশে স্থানীয় এক মোটর সাইকেল মেকারের দোকানে ঠিক করতে যান। সেখানে মোটর সাইকেলের মালিক মোটর সাইকেল টি দেখে সন্ধেহ হয়। এক পর্যায়ে গাড়িটির কাছে যান এবং গাড়ির চেসিস নং ও ইঞ্জিন নং মিলিয়ে দেখেন ওই মোটর সাইকেলটি তার। পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যার তোফাজ্জল হোসেন তোফার সহযোগিতায় মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করে ইউনিয়নের গোডাউনে রাখেন এবং আত্রাই থানাকে বিষয়টি অবগত করলে থানা পুলিশ এসে মোটর সাইকেলটি পুলিশ হেফাজতে নেন।
(এসআই) চাঁদ হোসেন জানান, মামলার বাদী শাহিন হোসেন এনজিওতে চাকরি করেন, বিশা ইউনিয়নের পাশেই এনজিও-র অফিসটি হওয়ার কারণে সেখানে প্রতিদিনের মত অফিসের বাহিরে তার ব্যবহৃত কালো টিভিএস আরটিআর ১৫০সি.সি মোটর সাইকেলটি রেখে অফিসে কাজ করতে গেলে মোটরসাইকেলটি চুরি হয়। ঘটনাটি প্রায় ৪ মাস আগের একটি অভিযোগ এর সূত্র ধারে বিভিন্ন লোক দিয়েও খোঁজ খবর নেয়া শুরু করি বিভিন্ন সিসি টিভি ফুটেজ চেক করেছি কোথাও পায়নি, শেষে মোটর সাইকেল মালিক নিজেই পেল তার গাড়িটি।
স্থানীয় একাধীক ব্যক্তি জানান, আওয়ামী নেতা সাইফুল ইসলাম ও তার ছেলে আশিকের প্রভাবে এলাকা অতিষ্ট হয়ে গেছে। তার ও ছেলের প্রভাবে এলাকায় থাকা দায়। এ বিষয়ে আরো জানাযায় চোরাই মোটর সাইকেল শুধু নয়, নিজ বাড়িটিও বৈধ্য সম্পত্তিতে নেই বলে জানান। তাদের এসব আচারনে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের দাবী আইনানুক ভাবে তাদের বিচার হউক। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন খাঁন বলেন, আমি ঘটনাটি মোটর সাইকেল মালিকের কাছ থেকে জানতে পেরে গাড়িটির কাগজপত্রাদি দেখে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে মোটর সাইকেলটি উদ্ধারক করি। গাড়িটি আমার ইউনিয়ন পরিষদের গোডাউন ঘরে রেখে থানাতে জানালে পুলিশ এসে গাড়িটি থানায় নিয়ে যায়। তবে চোরাই গাড়িটি এভাবে নেওয়া ঠিক হয়নি, আসলে এই চক্রের সাথে জরিতদের যেন দিষ্টান্তমূলক শাস্তি হয় এটাই আমার ইউনিয়ন বাসীর দাবী।
আত্রাই মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, মোটরসাইকেল সংক্রান্ত একটি মামলা হয়েছে গাড়িটি উদ্ধার করেছি। অপরাধী যেই হোক না কেন আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন