ফেনীতে বিএনপি-ছাত্রলীগের তুমুল সংঘর্ষ চলছে। আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। জ্বালানি তেলসহ সব পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি ও লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে ফেনীতে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষ হয়েছে। বিএনপি ও ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় দলের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ট্রাংক রোড, শহীদ শহিদুল্লা কায়সার রোড ও ইসলামপুর রোডে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ৬ থেকে ৭টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা। নিক্ষিপ্ত হওয়া ইটের আঘাতে মেঘনা ব্যাংক ও যমুনা ব্যাংকসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সাইন বোর্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। থেমে থেমে সংঘর্ষ এখনো চলছে।
এর আগে বিকেল ৩টার দিকে শহরের ইসলামপুর রোড থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্রদল ও যুবদল। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়কে উঠতেই ছাত্রলীগ বাধা দিলে উভয় পক্ষে সংঘর্ষ হয়। এরপর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ করলে উভয় পক্ষ ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল জানান, তেল-গ্যাস, সারসহ নিত্য দরকারি পণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রদিবাদে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে শুক্রবার বিকেলে শহরের ইসলামপুর রোডে জেলা বিএনপির অস্থায়ী অফিসের সামনে সমাবেশ ডাকা হয়। বেলা ৩টার পর থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে সেখানে দলের কর্মী-সমর্থকরা জড়ো হতে থাকেন। এ সময় ৫০ থেকে ৬০ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী সেখানে গিয়ে বিএনপির সমাবেশে আসা লোকজনের উপর লাঠি নিয়ে হামলা করেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা আলাল।
তিনি বলেন, হামলায় ছাত্রদল নেতা লুৎফুর রহমান রতন, খুরশিদ, লিটনসহ ৮ থেকে ১০ জন কর্মী আহত হন। তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অপরদিকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তোফায়েল আহমেদ তপু সাংবাদিকদের জানান, বিএনপির নানা নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ছাত্রলীগের একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল শহীদ শহিদুল্লাহ কায়সার রোড এলাকা অতিক্রমের সময় বিএনপির লোকজন ইসলামপুর রোড থেকে এসে হামলা চালায়।
এতে আমাদের ৬ থেকে ৭ জন নেতাকর্মী আহত হন। তবে তিনি তাৎক্ষণিক আহতদের নাম জানাতে পারেননি। ফেনী মডেল থানার ওসি নিজাম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। বিভিন্ন পয়েন্টে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও ২ রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোহরাব আল হোসাইন বলেন, আহতদের মধ্যে ৬ জনকে এই হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন