দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২৭৪ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশে। প্রোটিয়া স্পিন অ্যাটাকে একে একে আউট হয়েছেন প্রথম ইনিংসেও রান না পাওয়া শাদমান ইসলাম, এই টেস্টেই দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে নিজের আগমনী সুর শোনানো মাহমুদুল হাসান জয় ও অধিনায়ক মমিনুল হক।
৩ উইকেট হারিয়ে ১১ নিয়ে ৪র্থ দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। হাতে ৭ উইকেট নিয়ে জয়ের জন্য এখনও টাইগারদের দরকার ২৬৩ রান। ডারবানের কিংসমিডে ৪র্থ দিনের শেষ সেশনে যে দুই স্পিনার দিয়েই দুই প্রান্ত থেকে আক্রমণ রচনা করবেন অধিনায়ক ডিন এলগার, সেটি অনুমিতই ছিল।
কিন্তু প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় ইনিংসে টাইগারদের উজ্জীবিত পারফরমেন্সের পর যেভাবে ব্যর্থ হয়েছে টপ অর্ডার, তা যেন ছিল কিছুটা খাপছাড়া। সিমন হারমার অনেক বড় টার্ন ও বাউন্স না পেলেও শাদমানকে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে আউট করার জন্য তা যথেষ্টই ছিল।
কেশব মহারাজের আর্মারে বিভ্রান্ত হয়ে মাত্র ৪ রানেই বোল্ড হয়েছেন প্রথম ইনিংসে ম্যারাথন ব্যাটিং করে সেঞ্চুরি হাঁকানো মাহমুদুল হাসান জয়। আর অধিনায়ক মমিনুল হক তো কেশব মহারাজের আপাত নিরীহ এক স্পিনে ব্যাট নামাতেই পারলেন না! তার আগেই এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে দলকে বিপর্যয়ে ফেলে সাজঘরে ফেরেন ২ রান করা মমিনুল। এর আগে, বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিং-ফিল্ডিংয়ে মাত্র ২০৪ রানেই শেষ হয়ে যায় প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় ইনিংস।
আগের দিনের ৭৫ রানের লিড নিয়ে খেলতে নামে প্রোটিয়ারা। ৮ রান করা সারেল আরউইকে এলবিডব্লিউ করে ফেরান পেসার এবাদত হোসেন। তারপর সাফল্য পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে দীর্ঘ সময়। এরপর দুবার জীবন পাওয়া ডিন এলগার ও কিগান পিটারসেন যোগ করেন ৬৮ রান। হাফ সেঞ্চুরি তুলে ৬৪ রান করা ডিন এলগার শেষ পর্যন্ত ফেরেন তাসকিনের বলে। তারপর মেহেদী মিরাজের বলে শর্ট লেগে মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন কিগান পিটারসেন।
তিনি করেন ৩৬ রান। এরপর ইয়াসির আলী রাব্বি যে ক্যাচে টেম্বা বাভুমাকে ফিরিয়েছেন, সেটাই বদলে যাওয়া বাংলাদেশের শরীরী ভাষা। তারপর রায়ান রিকেলটনই কেবল কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে টিকে ছিলেন উইকেটে। কাইল ভেরাইন্না ও উইয়ান মুল্ডারকে তুলে নেন মেহেদী মিরাজ। সিমন হারমার ও লিজাড উইলিয়ামস হন রান আউট। প্রথম ইনিংসে নেয়া ৬৯ রানের লিডের পর ২০৪ রান সংগ্রহ করতে পারে প্রোটিয়ারা। মিরাজ ও এবাদত নেন ৩টি করে উইকেট। ইনজুরি সত্ত্বেও চিকিৎসা নিয়ে বোলিং করে যাওয়া তাসকিন আহমেদ নিয়েছেন দুটি উইকেট।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন