ভোলার চরফ্যাশন পৌরসভায় নববধূ চৈতীর (২৬) ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ চৈতীর বাবা চরফ্যাশন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র বাদী হয়ে মেয়ের শশুর, শাশুড়ী ও স্বামীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে চরফ্যাশন থানায় মামলা দায়ের করেছেন৷ মৃত নববধূ চৈতীর শশুর শমীর মজুমদার ও স্বামী শাওন মজুমদার কে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে৷
গত শনিবার আনুমানিক ১টার দিকে পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ড কলেজ পাড়া এলাকায় শশুর বাড়ীর নিজ কক্ষে নববধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ৷ স্বামী শাওন মজুমদার আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে পার্শ্ববর্তী উপজেলা লালমোহন গিয়েছিলেন৷ মধ্য রাতে বাসায় এসে রুমে ঢুকেই স্ত্রীকে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখে ডাক চিৎকার করে স্বামী শাওন মজুমদার৷ এলাকাবাসী এসে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশকে খবর দেয়৷ পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ভোলা প্রেরণ করেছেন৷
এলাকাবাসী জানান, ভালোবেসে কয়েক মাস পূর্বে ধুমধাম অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেও তাদের বিয়ে মেনে নিতে পারিনি শাশুড়ী নিয়তি রানী৷ প্রায়ই গালিগালাজ ও হুমকি-ধামকি শুনতে হতো নববধূ চৈতিকে৷ ঝুলন্ত লাসের অবস্থান দেখে এলাকাবাসীর মনে নানা প্রশ্ন এটা কি হত্যা নাকি আত্মহত্যা৷ প্রকৃত তদন্তের মাধ্যমে এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবি এলাকাবাসীর৷
চৈতির বাবা সুভাষ চন্দ্র বলেন, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না৷ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে৷ স্থানীয় প্রশাসন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিকট মেয়ের করুন মৃত্যুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন৷ তিনি আরো বলেন, আমার মেয়ে বরিশাল বিএম কলেজ থেকে ম্যাথমেটিক্স বিষয়ে অনার্স শেষ করে মাস্টার্সে অধ্যায়নরত ছিলো৷ আত্মহত্যার মতো এমন পরিকল্পনা করতে পারেনা আমার মেয়ে৷
চরফ্যাশন থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনির হোসেন মিয়া জানিয়েছেন, এ ঘটনায় ৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নম্বর- ০৪ তারিখ ০৫/০৩/২০২২। মামলার দ্বিতীয় ও তৃতীয় আসামীকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে৷ পোস্টমর্টেম রিপোর্টের অপেক্ষায় আছেন বলেও জানান এই কর্মকর্তা৷
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন