দিনাজপুরে জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে উত্তরের এ জেলা। সূর্যের দেখা মিলছে না বললেই চালে। মঙ্গলবার রাত ৯টা থেকে ঘন কুয়াশা শুরু হয়ে বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা পর্যন্ত এ ঘন কুয়াশা দেখা দেয়। এরপর আবার দুপুর দেড়টা থেকে সূর্য লুকোচুরি শুরু করে, যা বিকেল পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। হিমালয়ের পাদদেশের এই জেলায় চলতি সপ্তাহে বৃষ্টিসহ মাসে দুটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। তাপমাত্রা নেমে আসতে পারে ছয় থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াসে। দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, জেলায় শীত বাড়ছে।
মঙ্গলবার রাত ৯টা থেকে বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে দিনাজপুর। বুধবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে মঙ্গলবার ১৩ দশমিক ১ ও সোমবার ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। তিনি আরও জানান, বুধবার দুপুরের পর থেকে সূর্যের তাপ ছিল না। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। চলতি সপ্তাহে দিনাজপুর জেলাসহ উত্তরাঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা দ্রুত কমতে শুরু করবে। চলতি মাসে জেলার ওপর দিয়ে দুটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
তাপমাত্রা নেমে আসতে পারে ছয় থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াসে। দেখা দেবে ঘন কুয়াশা। অন্যদিকে, জেলার বাসিন্দাদের সারাদিন শীতের কাপড় পরে চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। পুরাতন কাপড়ের বাজারে বেচাকেনা বেড়েছে। জেলার পুরাতন কাপড় ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। শীতের কাপড় বেচাকেনা শুরু হয়েছে। দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার বাজান, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে শিশু ও বৃদ্ধ রোগী বাড়তে শুরু করেছে। ৫০০ শয্যার এ হাসপাতালে এখন প্রতিদিন ৯ থেকে সাড়ে ৯০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। বহির্বিভাগেও রোগী বেড়েছে।
এদিকে, ঘন কুয়াশার কারণে সাধারণ মানুষ সকালে দেরিতে কাজে বের হচ্ছেন। সকাল ১০টা পর্যন্ত হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করেছে। শীতের কারণে সড়ক দুর্ঘটনাও বেড়েছে। গত সাতদিনে ছোটবড় মিলে জেলায় প্রায় ১০০ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। বীরগঞ্জ, বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, বিরল, চিরিরবন্দর, খানসামা উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। বৃষ্টির আশঙ্কায় কৃষকরা দ্রুত ধান ঘরে তোলা শুরু করেছেন। সদর উপজেলার বালুপাড়া গ্রামের মোজাম্মেল হোসেন জানান, শুকানোর জন্য জমিতে কেটে রাখা ধান তারা দ্রুত তুলে নিয়ে আসছেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন