সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ ছাত্রাবাসে সিট দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় গিয়ে ছাত্রাবাস এলাকার পরিবেশ শান্ত দেখা গেছে।
তবে শিক্ষার্থীরা বলেছেন তাদের উৎকণ্ঠা কাটেনি। জানা গেছে, গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রাবাস এলাকায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে বাগবিতাণ্ডা থেকে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় ছাত্রাবাস এলাকার উভয় পক্ষকে স্লোগান দিতে দেখা যায়। এ সময় অনেকের হাতে লাটিসোঁটা ছিল। পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার এক পর্যায়ে ছাত্রশিবিরের অনুসারীদের ধাওয়া করে হল এলাকার বাইরে বের করে দেয় ছাত্রলীগ।
সংঘর্ষ ও ধাওয়ার ঘটনা ঘটলেও কেউ আহতের খবর পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে শতাধিক পুলিশ অবস্থান নেয়। এ সময় পুলিশের জল কামানের গাড়িও এনে রাখা হয়। এর পর থেকে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আজ দুপুরে আবাসিক হলের এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘পরিস্থিতি আপাতত শান্ত রয়েছে। তবে ভেতরে ভেতরে উত্তেজনা চলছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান বলেন, ‘দুই দিন আগে হল এলাকায় একটি রামদা পাওয়া গিয়েছিল। আমাদের এক বড় ভাইয়ের বিয়ে থাকায় তাৎক্ষণিক বিষয়টি নিয়ে আমরা কিছু বলিনি। গতকাল রাত পৌনে ১০টার দিকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে ছাত্রশিবিরের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়।
এর আধাঘণ্টার মধ্যেই তারা শতাধিক লোকজন নিয়ে আমাদের ঘিরে ধরে। এত দ্রুত জামায়েত দেখে বোঝা যায় তাদের আগে থেকেই প্রস্তুতি ছিল। এ রকম পরিস্থিতি আমরা আত্মরক্ষার্থে আমাদের নেতাকর্মীদের বিষয়টি জানাই। পরে তাদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়েছে। ’ ছাত্রশিবিরের অনুসারী ২০ থেকে ২৫ শিক্ষার্থীকে বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ রকম কিছু হয়নি।
হলে তারা তাদের কক্ষেই আছে। এ বিষয়ে কথা বলতে ছাত্রশিবিরের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল শিশির রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ছাত্রদের দুটি পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এ বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, ভোররাতের পর থেকে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। পুলিশ ভেতরে ঢোকেনি। তবে বাইরে টহলে আছে। সে রকম কোনো পরিস্থিতি হলে কর্তৃপক্ষ চাইলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সেখানে যাবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন