মস্তিষ্কে গেঁথে ছিল চপস্টিক

মস্তিষ্কে গেঁথে ছিল চপস্টিক

মস্তিষ্ক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বেরিয়ে এল রীতিমতো অবিশ্বাস্য এক তথ্য, এক ব্যক্তির মাথাব্যথার খুলিতে আটকে ছিলো দুই টুকরো চপস্টিক। মাথা ব্যথা নিয়ে ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। আসার পর চিকিৎসাকরা তাঁকে যা জানাল, তাতে তিনি হতভম্ব হয়ে পড়েন। এক জোড়া ‘চপস্টিক’ নাক ভিতর দিয়ে মস্তিষ্কের ভেতর ঢুকে আছে। এভাবেই কাটিয়ে দিয়েছেন দীর্ঘ পাঁচ মাস। দ্য নিউ ইয়র্ক পোস্ট এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অজ্ঞাতনামা ৩৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ২৫ নভেম্বর ভিয়েতনামের ডং হোইতে কিউবা ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে ভর্তি হন।

মাথাব্যথাসহ তাঁর নাক দিয়ে তরল স্রাব বের হচ্ছিল বলে জানা যায়। প্রথমেই হাসপাতালের চিকিৎসকরা একটি সিটি স্ক্যান করেন। ফলাফল দেখে চিকিৎসকরা জানালেন, ‘টেনশন নিউমোসেফালাস’ রোগে ভুগছেন রোগী। যা একটি বিরল স্নায়বিক অবস্থা এবং প্রাণঘাতী। পরবর্তী আরো একটি পরীক্ষা করানো ওই ব্যক্তির। যাতে ধরা পড়ে এক জোড়া চপস্টিক।

নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক নগুয়েন ভ্যান ম্যান এটিকে বিরল ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন। যা মাথার আঘাত, এপিডুরাল ইনজেকশন বা জটিল স্নায়বিক, মেরুদণ্ড, ক্র্যানিওফেসিয়াল বা সাইনাস সার্জারির পর হতে পারে।

হতভম্ব ব্যক্তি প্রথমে কিছুতেই মনে করতে পারছিলেন না, কীভাবে চপস্টিক তাঁর মস্তিষ্কে ঢুকেছে। কিন্তু হঠাৎ তাঁর মনে পড়ে, পাঁচ মাস আগে ভিয়েতনামে মদ্যপান করার সময় একটি বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। তখন কিছু একটা হয়েছে। রোগীর এ কথা শুনে ধারণা করা হচ্ছে, বিবাদের এ পর্যায়ে কেই তাকে অজানা বস্তু দিয়ে সজোরে আঘাত করেছে।

ওই ঘটনার পর যখন তিনি হাসপাতালে গিয়েছিলেন, তখন চিকিৎসকরা তাঁর নাকে কিছুই খুঁজে পাননি। যা পাঁচ মাস পর্যন্ত মাথার খুলির ভেতর অনাবিষ্কৃতই থেকে গিয়েছিল। সৌভাগ্যক্রমে চিকিৎসকরা নাকের এন্ডোস্কোপিক সার্জারির মাধ্যমে চপস্টিকগুলো অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছে। রোগীর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে।

সূত্র: নিউইয়র্ক পোস্ট

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password