পঞ্চগড়ে আহমদিয়া মুসলিম জামায়াতের (কাদিয়ানি) সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতার সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আরিফুর রহমান (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এছাড়াও সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার (৩ মার্চ) জুমার নামাজের পর সংঘর্ষ শুরু হয়।
পঞ্চগড় পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাজেদুর রহমান চৌধুরী ইরান জানান, সংঘর্ষে আরিফুর রহমান (৩০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। তিনি জেলা শহরের মসজিদপাড়া এলাকার ফরমান আলীর ছেলে। সংঘর্ষের সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় আরিফুর রহমানের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, সংঘর্ষে কাদিয়ানি সম্প্রদায়েরও একজন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন সালানা জলসার আহ্বায়ক আহমেদ তফসের চৌধুরী। তবে নিহতের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি। পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, নিহত ব্যক্তির মুখ থেঁতলে যাওয়ায় তার পরিচয় শনাক্ত করতে সময় লাগছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।
জানা গেছে, জুমার পর সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে জনতা ও মুসল্লিরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব সম্মিলিতভাবে তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে।
এ সময় টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও গুলি চালানো হয়। এতে আহত হন পুলিশ, সাংবাদিক ও মুসল্লিসহ অন্তত ৩০ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সঙ্গে বিজিবি ও র্যাব কাজ করছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম রাতে বলেন, ‘উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে ১৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছেন বিজিবি সদস্যরা।’ এ বিষয়ে পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার কিছুক্ষণের মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করবেন। তখন সব বিষয় সেখানে তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন পঞ্চগড় জেলার জেলা প্রশাসক জহিরুল ইসলাম।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন