রংপুরে করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে স্থানীয় মানুষের মধ্যে আলোচনা চলছে। তবে নগরী থেকে উপজেলা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না বেশির ভাগ লোক। নাগরিক সচেতনতা তৈরিতে জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ ও সিটি করপোরেশনকে এখনো কোনো প্রচারণা চালাতে দেখা যায়নি।
রংপুর নগরীসহ কয়েকটি উপজেলা সদর এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। জেলা শহরের বিপণিবিতান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে মানুষের উপস্থিতি ছিল স্বাভাবিক। রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. হিরিম্ব কুমার রায় বলেন, মানুষ যদি স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলে, তাহলে দিন দিন করোনার সংক্রমণ বাড়তেই থাকবে। যা সামাল দেওয়া কঠিন হবে। রংপুর বিভাগের স্বাস্থ্য উপ-পরিচালক ডা. জাকিরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
রংপুর নগরীর সিটি বাজার, নবাবগঞ্জ বাজার, বেতপট্টি, পায়রা চত্বর, কাচারি বাজার, জাহাজ কোম্পানি এলাকাসহ ব্যবসাপ্রধান এলাকা এবং উপজেলাগুলো ঘুরে ও খবর নিয়ে দেখা গেছে, দোকানগুলোতে মানুষ গাদাগাদি করে কেনাকাটা করছে। অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, রিকশাসহ সব ধরনের যানবাহনে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে।
রংপুর জেলা সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী মকসুদার রহমান বলেন, ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে মাস্ক ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে মানুষকে তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। একটু নিয়ম মানলেই শহরটা সুন্দর হয়ে উঠবে। সাধারণ জনগণ সেটা মানতে চান না। সুশাসনের জন্য নাগরিকের রংপুর মহানগর কমিটির সভাপতি খন্দকার ফখরুল আলম বেঞ্জু বলেন, নিজেদের সুস্থ রাখার জন্য সচেতন হতে হবে। সবাই নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হলে পরিস্থিতি অনুকূলে থাকবে।
রংপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. ফেরদৌস আলী চৌধুরী বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে শিগ্গিরই পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান শুরু করবে। রংপুরের জেলা প্রশাসক ও করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আসিব আহসান বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম চালানো হবে। সেই সঙ্গে জেলা তথ্য অফিসের মাইকযোগেও সচেতনতামূলক প্রচার শুরু করা হবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন