সুনামি সৃষ্টি করতে যাচ্ছে ওমিক্রন-ডেল্টা

সুনামি সৃষ্টি করতে যাচ্ছে ওমিক্রন-ডেল্টা

ভারতে প্রথম শনাক্ত করোনাভাইরাসের ডেল্টা এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের একযোগে প্রাদুর্ভাব ‘সংক্রমণের সুনামি’ তৈরি করছে। বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস।

বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচও’র প্রধান বলেন, বিশ্বজুড়ে ওমিক্রন সংক্রমণ নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কারণ এই ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ও সংক্রমণের সুনামি তৈরি করেছে।সংস্থাটির পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, করোনার ডেল্টা ও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ সারা বিশ্বের ওপরই পৃথিবীর ওপর সুনামির মতো আছড়ে পড়বে। যার ফলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার তীব্র আশঙ্কা রয়েছে।


মূলত করোনার ডেল্টা ও ওমিক্রন ধরন বিশ্বজুড়ে রেকর্ড সংখ্যক সংক্রমণ ঘটাচ্ছে, যার ফলে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা, বাড়ছে মৃত্যুও। গত এক সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ১১ শতাংশ। রেকর্ড সংক্রমণ দেখা দিয়েছে ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রে। যার পেছনে ভূমিকা রয়েছে ডেল্টা ও ওমিক্রন ধরনের।বুধবার ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস আরও বলেন, করোনার বিরুদ্ধে ২০২২ সালেও লড়াই করতে হবে। তিনি বলেছেন, ২০২১ সালের শেষে প্রতিটি দেশের ৪০ শতাংশ মানুষের পুরোপুরি করোনা টিকার আওতায় আসার কথা।তার ভাষায়, ২০২২ সালের মাঝামাঝি সেই শতাংশের হিসাব পৌঁছে যাওয়ার কথা ৭০ শতাংশের কাছাকাছি। তবে তার আশঙ্কা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১৯২টি প্রতিনিধি দেশের মধ্যে ৯২টি প্রতিনিধি দেশই সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হতে পারে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password