ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে এশিয়া ও ইউরোপে বিক্ষোভ

ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে এশিয়া ও ইউরোপে বিক্ষোভ

ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ ও ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন দেশের মানুষ। এসময় ইসরায়েল নিপাত যাক স্লোগানে মুখরিত হয় রাজপথ। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকায় আগুন দিয়ে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যার প্রতিবাদ জানায় বিক্ষোভকারীরা। মধ্যপ্রাচ্য ছাড়াও বিক্ষোভ হয়েছে এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে।

হামাসের ইসরায়েলে হামলা ও গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের পাল্টা হামলার পর ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে দেশে দেশে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার মানুষ। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা নয়, মাতৃভূমিকে রক্ষার লড়াইয়ের অংশ ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের এ হামলা।

বিক্ষোভ হয়েছে তুরস্ক, ইরান, ইরাক, কুয়েত, সিরিয়া, ইয়ামেন ও মরক্কোরসহ বিভিন্ন দেশে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ আমেরিকা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল। রোববার (৮ অক্টোবর) তুরস্কের ইস্তাম্বুল ও আঙ্কারায় কয়েক হাজার বিক্ষোভকারীকে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে স্লোগান দিতে দেখা যায়।

ইস্তাম্বুলের বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ৫৪ বছর বয়সী শাহীন ওচাল বলেন, ফিলিস্তিনিরা মাতৃভূমি রক্ষার লড়াই করছে। এর সঙ্গে সন্ত্রাসের কোনো সম্পর্ক নেই। ইরানের রাজধানী তেহরানের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ করেছেন শত শত মানুষ। এ সময় বিক্ষোভকারীদের অনেকের হাতে ফিলিস্তিন ও হামাসের পতাকা দেখা যায়।

ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইরাকের রাজধানী বাগদাদ ও বসরাতেও বিক্ষোভ হয়েছে। হামাসের হামলায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বিক্ষোভ হয়েছে লেবাননের রাজধানী বৈরুত ও দক্ষিণের সিদন শহরে। মরক্কোর রাজধানী রাবাতেও হামাসের হামলার সমর্থনে বিক্ষোভ হয়েছে। ইয়েমেনের রাজধানী সানায় হামাসের পতাকা হাতে বিক্ষোভ করেছেন শত শত মানুষ।

দেশটির দক্ষিণ–পশ্চিমের শহর তাইজেও ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভ হয়েছে। কুয়েতের রাজধানী কুয়েত সিটিতে ফিলিস্তিনের সমর্থনে আয়োজিত বিক্ষোভে অংশ নেন কয়েকশ মানুষ। ইসরায়েলে হামাসের হামলার প্রতি সমর্থন জানিয়ে সিরিয়াতেও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, নিউইয়র্ক, লন্ডনসহ আমেরিকা ও ইউরোপের অন্তত ২০টি শহরে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছে। রোববার এসব বিক্ষোভ শুরু হওয়ার কথা ছিল।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password