নওগাঁয় ‘ডলফিন সেভিং এন্ড ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড’ নামে একটি বেসরকারি সংস্থা গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পর অবশেষে র্যাবের জালে ধরা পড়েছে।
র্যাবের যৌথ অভিযানে রোববার ভোরে নারায়নগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানার তারাব বাসস্ট্যান্ড থেকে সংস্থার পরিচালক আব্দুর রাজ্জাককে র্যাব-৫ ও র্যাব-১১ আটক করে। দুপুর ১ টায় নওগাঁ সার্কিট হাউজের সভাকক্ষে র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল মুনীম ফেরদৌস সংবাদ সম্মেলন করে তথ্য জানান।
আটককৃতরা হলেন, নওগাঁ সদর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের নাছির উদ্দিন মন্ডলের ছেলে ডলফিন সংস্থার পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক (৪৩), তার বোন শিল্পী বেগম (৩৫), স্ত্রী সুমি বেগম (৩২), সংস্থার সভাপতি পিয়ার আলী (৪০), ম্যানেজার আতোয়ার রহমান (৬০) এবং ক্যাশিয়ার রিপন (১৮)। সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, নওগাঁ সদর উপজেলার ফতেপুর বাজারে ২০১৩ সালে সমবায় থেকে নিবন্ধন নিয়ে ‘ডলফিন সেভিং এন্ড ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড’ নামে একটি বেসরকারি সংস্থা গড়ে তুলেন একই গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক। যেখানে বিভিন্ন গ্রামের সহজ-সরল মানুষদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে স্থায়ী আমানত ও ক্ষুদ্র সঞ্চয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। গ্রাহকদের প্রতি লাখে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা মুনাফা দিতেন। গত কয়েকমাস থেকে গ্রাহকদের মুনাফা না দিয়ে আজকাল দিবো বলে তালবাহানা করতো। হঠাৎ করেই গত ২০ জানুয়ারি সংস্থার সকল কার্যক্রম বন্ধ করে পরিচালক আব্দুর রাজ্জাকসহ অন্যারা প্রায় ২০ কোটি টাকা উধাও হয়ে যান। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচারের পর নজরে আসে। এরপর গোপনে তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হয়।
তিনি বলেন, আগামী ২৪ ফেব্রæয়ারি আব্দুর রাজ্জাক দুবাই পালিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। পরে রোববার ভোরে নারায়নগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানার তারাব বাসস্ট্যান্ড থেকে র্যাব-১১ এর সহযোগীতায় তাকে আটক করা হয়। এরপর সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বাঁকী ৫জনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের নওগাঁ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসা ইনচার্জ (ওসি) মো. জাহিদুল হক বলেন, আটক আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন