তুরস্কে ৫২ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার শিশু

তুরস্কে ৫২ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার শিশু

ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত তুরস্ক ও সিরিয়া। দেশ দুটিতে এখন পর্যন্ত ১১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। হাজার হাজার বাড়িঘর ধ্বংস এবং অসংখ্য মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছে। তাদের উদ্ধারে ৯ হাজার সেনাসহ ১২ হাজারের বেশি উদ্ধারকর্মী কাজ করছে। তবে ভূমিকম্পের ৫২ ঘণ্টা পর ৮ বছর বয়সী এক শিশুকে ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) তুরস্কের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হাতায় শহরে কয়েক ঘণ্টার চেষ্টার পর ওই শিশুকে উদ্ধার করা হয়।

বিবিসি ও সিএনএন’র তথ্যমতে, হাতায় শহরের একটি ভবনে মা-বাবার সঙ্গে থাকত ওই শিশু। ভূমিকম্পে ওই ভবনে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে শিশুটিসহ তার পরিবার। পরে ৫২ ঘণ্টা পর উদ্ধারকারীরা শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল না। শিশুটিকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে, স্থানীয় সময় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে সিরিয়া এবং তুরস্কে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে।

এর কিছুক্ষণ পর ফের ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প এবং পরে আরও অনেকগুলো আফটারশক হয়। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত তুরস্কের ৮ হাজার ৫৭৪ এবং সিরিয়ায় ২ হাজার ৬৬২ জন নিহত হয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তাদের ধারণা, নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। ২ কোটি ৩০ লাখ মানুষের ওপর এর প্রভাব পড়তে পারে।

ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে হাজার হাজার বাড়িঘর ধ্বংস এবং অসংখ্য মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন। উল্লেখ্য, ১৯৩৯ সালে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্কের পূর্ব এরজিনকান প্রদেশে ৩৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিলেন। এরপর ১৯৯৯ সালে দেশটির ডুজসে অঞ্চলে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password