নওগাঁ বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান মেলা ও আন্তঃশ্রেণি বিতর্ক প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীদের মাঝে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আলো ছড়িয়ে দেওয়ার এক অনন্য উদ্যোগ দেখা গেলো।
বৃহস্পতিবার সকালে এ আয়োজনে স্কুল চত্বরে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষণীয় ছিল। শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানী আইনস্টাইন, নিউটন, জগদীশ চন্দ্র বসু এবং মেরি কুরির মতো বিশ্বখ্যাত ব্যক্তিত্বদের অনুসরণ করতে চায়। বিদ্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এ মেলাটি ছিল প্রতিষ্ঠানটির দ্বিতীয় বিজ্ঞান মেলা। সকাল ৯টায় শুরু হওয়া এ আয়োজনে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল অত্যন্ত প্রাণবন্ত। বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তাদের তৈরি বিজ্ঞান প্রকল্প প্রদর্শন করেন। একইসাথে চলে আন্তঃশ্রেণি বিতর্ক প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব, যেখানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তর্কবিতর্ক জমে উঠে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে স্কুল মাঠটি যেন এক মিলনমেলায় রূপ নেয়। শিক্ষার্থীরা তাদের তৈরি প্রকল্প নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটায়, আর অভিভাবক ও অতিথিদের পদচারণায় মেলা মুখরিত হয়ে ওঠে।
মেলা এবং বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপনী আয়োজন বিকাল ৩টায় সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল। তিনি শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান প্রকল্প পরিদর্শন করেন এবং তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। পরে তিনি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. শরিফুল ইসলাম খান, জেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজা খাতুন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন, এবং সাকিব বিন জামান প্রত্যয় প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন স্কুলের শিক্ষক এস.এম. সুলতান মাহমুদ। অনুষ্ঠান সম্পর্কে জানতে চাইলে বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. শরিফুর রহমান বলেন, "গত বছর থেকে আমরা শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমুখী করে গড়ে তুলতে এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এতে তাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হচ্ছে। আমাদের উদ্দেশ্য হলো, এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ হয়ে উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে সক্ষম হবে।" প্রধান অতিথি মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা দেখে মুগ্ধ হয়ে বলেন, "আজকের মেলায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরাই একদিন বড় বড় আন্তর্জাতিক আসরে নিজেদের মেধার প্রমাণ রাখবে।
প্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে তুলে ধরতে হলে আমাদের শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানের চর্চা বাড়াতে হবে।" মেলার সফল সমাপ্তিতে অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে সন্তোষের ছাপ লক্ষ্য করা যায়। এমন আয়োজন শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্ক হিসেবে গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে সকলের বিশ্বাস।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন