স্পোর্টস ডেস্ক : টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের ভরাডুবির পর পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ দলে বড় ধরনের পরিবর্তন করেছে বাঙ্গালদেশ ক্রিকেট বোর্ড। বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার প্রথমবারেরমতো জাতিয় দলের স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েছেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটের পঞ্চপান্ডের শুধুমাত্র মাহমুদুউল্লাহ রিয়াদ রয়েছেন দলে। বলাই যায় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের যে নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
নতুন যুগে সামনে থেকে দেশের পতাকা উড়ানোর সুযোগ আবারও পেয়েছেন নাজমুল হাসান শান্ত। টেস্ট দলে থিতু হয়েছেন। কিন্তু সীমিত পরিসরে আসা-যাওয়ার মধ্যেই থাকেন তিনি। তবে প্রতিশ্রুতিশীল ক্রিকেটারকে নিয়ে এবার অনেক বড় স্বপ্ন টিম ম্যানেজমেন্টের। দেশের হয়ে ২০ ওভারের ক্রিকেটে এখনও পর্যন্ত তেমন কিছু করতে পারেননি তিনি। ২০১৯ সালে দুটি আর এবছর একটি টি-টোয়েন্টি খেলে তার মোট রান মোটে ২৪। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে রেকর্ড খারাপ নয় এই সংস্করণে। ৭৩ ইনিংস খেলে ১ হাজার ৫৮৪ রান করেছেন, ১২৮.৯৯ স্ট্রাইক রেট বাংলাদেশের বাস্তবতায় যথেষ্টই ভালো।
বিসিবির ভিডিও বার্তায় বুধবার তিনি বললেন, স্ট্রাইক রেট ভালো রাখার সেই ধারা ধরে রাখতে চান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও। টি-টোয়েন্টি নরম্যালি রানের খেলা। আমি যখনই ব্যাটিং করি, যে পরিস্থিতিই থাকুক, সবসময়ই লক্ষ্য থাকে যে আগ্রাসী ব্যাটিংই করব। সবসময় অ্যাটাকিং মুডে থাকার চেষ্টা করি। অ্যাটাকিং মানেই যে প্রতি বল মারতে যাই, তা নয়। অবশ্যই বল বাই বল খেলার চেষ্টা করি। তবে চিন্তা-ভাবনা থাকে আক্রমণাত্মক থাকার’।
পাকিস্তানের বিপক্ষে এবার অনেক সিনিয়র ক্রিকেটার নেই। অনেক নতুন ক্রিকেটার এসেছেন। সব মিলিয়ে দল নিয়ে নিজের মুল্যায়ন সম্পর্কে শান্ত বলেন, ‘আমরা এখানে যারা আছি প্রত্যেকেই সামর্থ্যবান। প্রত্যেকটা ব্যাটসম্যানই দায়িত্ব নিয়ে খেলার মতো। আমাদেরই দায়িত্ব নিতে হবে। এখানে সিনিয়র বা জুনিয়র বলে কিছু নাই। এখানে সবাই সামর্থ্যবান বলে আমরা আছি। প্রত্যেকেরই দায়িত্ব আছে। যার যে দায়িত্ব সমানভাবে পালন করতে হবে। সবারই সেই সামর্থ্য আছে’।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন