লতিফা বেগম নামের বাংলাদেশি তরুণী রোহিঙ্গা সেজে শিবিরে বসবাসের মাধ্যমে আদালতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এক বাংলাদেশির বিরুদ্ধে একে একে দুটি মামলা দায়ের করেছেন। আদালত তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য টেকনাফ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
অপরদিকে লতিফা বেগমকে রোহিঙ্গা শিবিরের একটি এনজিওর স্বেচ্ছাসেবক বলে মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এবং পিবিআইয়ের সহকারী উপপরিদর্শক আবু তাহেরের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কক্সবাজারের মুখ্য বিচারিক হাকিম (চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট) আলমগীর মুহাম্মদ ফারুকী মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানি শেষে এ আদেশ প্রদান করেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী লতিফা বেগমের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই ফোন কেটে দেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, টেকনাফের নয়াপাড়া শিবিরের বাসিন্দা হিসেবে লতিফা বেগম নামের ওই তরুণী ছেনুয়ারা বেগম নাম ধারণ করে রোহিঙ্গা নাগরিক পরিচয়ে ২০১৯ সালে স্থানীয় গ্রামবাসী মোহাম্মদ রায়হান নামের এক তরুণের বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা দায়ের করেছিলেন।
তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। ২০২০ সালে একই ব্যক্তি মোহাম্মদ রায়হানের বিরুদ্ধে লতিফা বেগম শিবিরের রোহিঙ্গা পরিচয়ে আরো একটি মামলা (সি.আর-৪৯/২০২০) দায়ের করেন। বাদী লতিফা বেগম মামলায় আসামি মোহাম্মদ রায়হানের বিরুদ্ধে প্রতারণামূলকভাবে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ উত্থাপন করেন।
আজ মামলাটির অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ছিল। শুনানিকালে আদালতের কাছে প্রমাণিত হয় যে, মামলার বাদী লতিফা বেগম প্রকৃতপক্ষে কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা। মামলার আসামি রায়হান হচ্ছেন কুতুবদিয়া দ্বীপের বড়ঘোপ গ্রামের বাসিন্দা।
সেই সঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের সহকারী উপপরিদর্শক আবু তাহের মিথ্যা প্রতিবেদন দেওয়ার বিষয়টিও প্রমাণিত হয়। পরে আদালতের বিচারক মামলার বাদী লতিফা বেগম ও পিবিআইয়ের সহকারী উপপরিদর্শক আবু তাহেরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন