গরমের তীব্রতা থেকে বাঁচাতে শিশুর প্রতি খেয়াল রাখা জরুরি। হঠাৎ করে গরমে প্রতিদিন স্কুলে যাওয়া-আসা করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়াটাও অস্বাভাবিক নয়। গ্রীষ্মের প্রখর তাপ থেকে শিশুকে বাঁচাতে তার খাবারের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। গরমে কী খাওয়া উপকারী, কী খাওয়া যাবে না সে সম্পর্কে শিশুদের তেমন ধারণা থাকে না।
ফলে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে খেয়ে ফেলতে পারে বাইরের খোলা খাবার। আবার রোদের তীব্রতার কারণে মুখোমুখি হতে পারে নানান শারীরিক অসুস্থতার। এ অবস্থায় আপনার দায়িত্ব শিশুকে সচেতন ও সুস্থ থাকতে সাহায্য করা। গ্রীষ্মের প্রখর তাপ থেকে শিশুকে বাঁচাতে তার খাবার তালিকায় রাখতে হবে যে ৫ খাবার—
দই---- গরমে পেটের নানান সমস্যা দূর করতে শিশুকে প্রতিদিন খাওয়াতে পারেন দই। এটি হজমের সমস্যা মিটেয়ে, শরীর ভেতর থেকে ঠাণ্ডা রাখে। টক দই খেতে না চাইলে শিশুকে মিষ্টি দই খাওয়াতে পারেন। দইয়ের লাচ্ছি তৈরি করেও খেতে দিতে পারেন। এটি তাকে গরমে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে।
ছাতুর শরবত---- গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে কার্যকর ছাতুর শরবত। শুধু বড়দের নয়, এ সময় শিশুর খাবারেও রাখুন এই শরবত। এটি শিশুর শরীর ঠাণ্ডা রেখে, শরীরে পুষ্টি পৌঁছে দেবে।
লেবুর শরবত---- ভিটামিন ‘সি’-এর অন্যতম বড় উৎস লেবু। শিশুকে প্রতিদিন এমনিতেই ভিটামিন ‘সি’ যুক্ত খাবার খাওয়ানো উচিত। গরমে লেবুর শরবত শিশুর ভীষণ উপকারী একটি পানীয় হতে পারে। এই গরমে শিশুকে শক্তি জোগানোর পাশাপাশি এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করবে। তবে বাইরে থেকে ফেরার পরপরই শিশুকে কোনো ধরনের ঠাণ্ডা পানীয় খেতে দেবেন না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। ত
তরমুজ----- গ্রীষ্মের অন্যতম উপকারী ফল তরমুজ। গরমের তীব্রতায় প্রাণ জুড়াতে তরমুজের জুড়ি নেই। এই ফলের প্রায় ৯২ শতাংশই পানি। সুতরাং গরমে পানিশূন্যতা দূর করতে তরমুজ খেতে হবে নিয়মিত। গরমে শিশুকে প্রতিদিন তরমুজ খেতে দিন। এতে শরীর ভেতর থেকে আর্দ্র থাকবে।
পুদিনা---- পুদিনার ভেতরে এক ধরনের শরীর শীতল করার বৈশিষ্ট্য আছে। এর স্বাদ কিংবা গন্ধও সতেজ অনুভূতি দিয়ে থাকে। গরমে শিশুর বিভিন্ন খাবারে যোগ করতে পারেন পুদিনা পাতা। পুদিনা পাতার শরবত, চাটনি ইত্যাদি তৈরি করে শিশুকে খেতে দিতে পারেন। এতে গরমেও শিশু থাকবে সতেজ ও সুস্থ।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন