রাজধানীর বংশাল থানার সিদ্দিকবাজার এলাকার বাসা থেকে রোববার রাতে পান্না বেগম নামে এক নারীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে ঘটনাটি রহস্যজনক বলে ধারণা করা হলেও সোমবার লাশের ময়নাতদন্তের পর সংশ্লিষ্টরা নিশ্চিত হয়েছেন, তিনি খুনের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় বংশাল থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, তার শরীরে স্বর্ণের গহনা ছিল যা পাওয়া যাচ্ছে না। ঢামেক মর্গ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. জান্নাতুন নাঈম লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন করেন।
ময়নাতদন্তের সময় নিহত নারীর ঘাড়ের নিচ থেকে ছুরির ভাঙা টুকরা পাওয়া গেছে। এছাড়া মরদেহ থেকে ভিসেরা ও ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে। নিহতের ছেলে কাজী মাহফুজুর রহমান জুবায়ের বলেন, মা রোববার বিকাল থেকে বাসায় একাই ছিলেন। রাত ১০টার দিকে খবর পাই তিনি মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, মায়ের দুই কানে স্বর্ণের দুল; একটি নাকফুল, দুই হাতে স্বর্ণের আংটি এবং দুই পায়ে রূপার নুপুর ছিল- সেগুলো পাওয়া যায়নি।
এছাড়া বাসার আসবাবপত্রগুলো এলোমেলো ছিল। এদিকে বংশাল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হেদায়েত হোসেন মোল্লা নিহতের সুরতহাল রিপোর্টে উল্লেখ করেন, রোববার বিকালে খাওয়া নিয়ে ছেলে জুবায়েরকে পিড়াপিড়ি করেন মা পান্না বেগম। কিন্তু না খেয়ে সে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাড়িওয়ালার ছেলে ওই বাসা অন্ধকার ও দরজা খোলা দেখতে পেয়ে নিজের মাকে খবর দেন।
তারা এসে দেখতে পান ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পরে আছেন পান্না বেগম। পরে নিহতের ছেলে জুবায়েরকে খবর দেওয়া হয়। জুবায়ের এসে তার মাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এসআই আরও জানান, পান্না বেগমের নিহতের ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। তিনি জানান, স্বজনদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, নিহতের কানে, হাতে, নাকে স্বর্ণের গহনা ছিল। সেগুলো পাওয়া যায়নি। তাদের সঙ্গে কারো শত্রুতা ছিল, অথবা তাকে হত্যা করে স্বর্ণের জিনিসগুলো নিয়ে গেছে কিনা- সব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন