নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশণের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী সাংসন্দ শামীম ওসমান মানেই মানুষ মনে করেন বিরোধ। একই দলের রাজনীতি করলেও দুজন-দুজনের সাথে সাক্ষাৎ হয়না তেমন। সর্বশেষ দেখা হয়েছিল আইভীর নিজ বাড়িতে। গত বছর ২৫ জুলাই তার মায়ের মৃত্যুর দুই দিন পর দেওভোগের বাড়িতে গিয়েছিলেন শামীম ওসমান। এরপর জল কম গড়ায়নি। এরই মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে দুইজনের চরম বিরোধ দেখেছে মানুষ। দুজনের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়েছিল ২০১১ সালে সিটি নির্বাচন থেকে। ঠিক এই দুজনকে এক সাথে এক টেবিলে বসে ইফতার করতে দেখা গেছে। 

আজ সোমবার (১৮ জুলাই) এ দুই আওয়ামী লীগের নেতার মধ্যে দেখা হয়েছে। তারা দুইজন এক টেবিলে বসেছেন, ইফতারও করেছেন। ইফতারের আগ মুহূর্তে মোনাজাতেও শরিক হন একই সঙ্গে। তবে কারও মধ্যে কোনো কথাবার্তা হয়নি। কেউ কারও কুশলাদি পর্যন্ত জিজ্ঞাসা করেননি।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ প্রশাসনের আয়োজনে মাসদাইর এলাকায় জেলা পুলিশ লাইনস মাঠে ইফতার আয়োজনে এক টেবিলে বসেছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক), নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা , মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ মৃণাল কান্তি দাস, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান।

এরমধ্যে সবাই সবার সঙ্গে কথা বললেও ব্যতিক্রম ছিলেন আইভী ও শামীম ওসমান।