গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে সরকারি বেসরকারি সহ বিভিন্ন পর্যায়ের ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে সাধারন ছুটি। করোনা মহামারি কাটিয়ে এবছর দীর্ঘ ছুটি পাচ্ছে জন সাধারন। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে প্রতিনিয়ত বাড়ছে বাড়ি ফেরা মানুষের ঢল। তাই ভোলার নৌযান গুলোতে বাড়ছে অতিরিক্ত চাপ। এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে নিরাপদে বাড়ি পৌছে দেওয়ার জন্য নেই যথেষ্ট লঞ্চের ব্যবস্থা। তাই মাত্রা অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছে প্রতিটি ছোট বড় নৌযান। এর ফলে অতিরিক্ত ঝুঁকিতে জনজীবন। তার উপর প্রচন্ড গরমে রোজা রেখে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু সহ নানা বয়সের অনেকেই। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে এই তীব্র দাহ আরও বেশ কিছুদিন চলমান থাকবে।
এই চাপকে কেন্দ্র করে আদায় করা হচ্ছে সরকার নির্ধারিত ডেকের ৩৮৮ টাকার ভাড়া ৫০০ টাকা। অনেক যাত্রী অতিরিক্ত ভাড়া দিতে না চাইলে তাকে নানা ভাবে অপমানিত হচ্ছে লঞ্চ শ্রমীকদের কাছে। অনেক যাত্রীকে লঞ্চ থেকে টেনে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও নানান হয়রানির স্বীকার হচ্ছে সাধারন জনগন। অনেক যাত্রী ৯৯৯ ফোন দিয়ে প্রশাসনের কাছে এই বিশষ গুলো নিয়ে অভিযোগ করলেও নেওয়া হচ্ছে না কোন ব্যবস্থা।
একই অবস্থা গ্রীনলাইনের,ভোলা ইলিশা ঘাট থেকে এক যাত্রী বিডিটাইপকে জানিয়েছেন, গ্রীনলাইন-২ এ আজকের যাত্রায় ভোগান্তির আর শেষ নেই। ১ঘন্টা আগেই লঞ্চ ঘাট ছাড়ছে,৫মিনিটের জন্য লঞ্চ মিস করি নাই। সব দরজা লাগানো ছিল, খোলার কেউ নেই। লঞ্চের পিছনের খোলা অংশ দিয়ে ঢুকে লোকজন ঠেলে সিটে আসতে সময় লেগেছে ৩০মিনিট। ধারণ ক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি লোক, নির্ধারিত সময়ের আগেই যাত্রা শুরু, টিকিট বিহীন লোকে সয়লাব লঞ্চ। গ্রীনলাইন কর্তৃপক্ষ মানছে না কোন নিয়ম। নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাই এই সমস্যা গুলোর দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহন করে সাধারন যাত্রীদের নিরাপদ ঈদ যাত্রা নিশ্চিত করার।।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন