সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের মুসলিমপুর গ্রামের প্রভাবশালী মোঃ আবু তাহের ও আঃ হামিদের নেতৃত্বে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার রাত আনুমানিক ৮ঃ৩০ ঘটিকায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের মুসলিমপুর গ্রামের প্রভাবশালী মোঃ আবু তাহের(৫৫) ও আঃ হামিদ (৩৯) এর নেতৃত্বে ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী মারাত্মক প্রাণ নাশক অস্ত্রাদী নিয়ে মোঃ আবুল কাসেম এর বসতবাড়িতে হামলা করে।
মোঃ আবুল কাসেমের বাড়ির লোকজন তাদের বাধা দিতে আসলে সন্ত্রাসীরা এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে।সন্ত্রাসীদের হাতে গুরুত্বর আহত হয় শাহানা বেগম, সিরাজুল ইসলাম, সোনা মিয়া, ময়না মিয়া, আল-আমিন, হাসিম মিয়া, রোজিনা বেগম, আবু হানিফা, বিল্লাল মিয়া এদের সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শাহানা বেগম ও মিরাজুল ইসলাম এর অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট উসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
এ ব্যাপারে আহত শাহানা বেগম এর স্বামী মোঃ আবুল কাসেম বাদী হয়ে মোঃ আবু তাহের (৫৫) পিতাঃমৃত মোসলেম উদ্দিন সাং মুসলিমপুর কে প্রধান আাসামী করে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় অন্যান্য আসামীরা হলেন,মুসলিমপুর গ্রামের হামিদ মিয়া(৩৯)আবু নাঈম ওরফে সাদ্দাম(২৫) রফিকুল ইসলাম(৩২) বাচ্চু মিয়া(৪৫) জহিরুল ইসলাম(২০) সাদিকুর রহমান(১৯) মানিক মিয়া(৩৫) নাসিম মিয়া(৩০) তানভীর মিয়া(২০) জাহের মিয়া(৬২) সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮ জন।
মামলার এজহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুরমা ইউনিয়নের মুসলিমপুর গ্রামের উপরে উল্লেখিত ব্যাক্তিবর্গ পূর্ব হইতেই বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়া মামলার বাদী পক্ষের জান, মাল ও আত্মসম্মান নিয়ে ক্ষতির পায়াতারা করছিল।
পরে স্থানীয় ও অন্যপরিবারের সদস্যরা তাদেরকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তারা জেলা সদর হাসপাতাল ও সিলেট উসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে আহতদের পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতা আছেন উল্লেখ করে উক্ত ঘটনার সূষ্ঠ বিচার ও আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সহিদুর রহমান অভিযোগটির প্রাথমিক অনুসন্ধান করার জন্য এসআই রাসেদুর রহমানকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন