ইন্দোনেশিয়ায় চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মারাত্মক কিডনি জটিলতায় ৯৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর সিপার ওষুধ বিক্রি নিষিদ্ধ করল ইন্দোনেশিয়ার সরকার। পাশাপাশি শিশুদের মৃত্যুর পেছনের কারণ খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু করেছে সরকার। এর আগে গত বুধবার ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহরিল জানিয়েছিলেন, ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত কর্মকর্তারা মারাত্মক কিডনি জটিলতার ২০৬টি ঘটনা শনাক্ত করেছেন এবং ৯৯ জনের মৃত্যু রেকর্ড করেছেন।
গাম্বিয়ায় একটি কাশির সিরাপ খেয়ে প্রায় ৭০ জন শিশুর মৃত্যুর কয়েক সপ্তাহ পরেই ইন্দোনেশিয়ায় এ ঘটনা ঘটল। ইন্দোনেশিয়া বলেছে, কিছু সিরাপে কিডনি জটিলতা হতে পারে এমন উপাদান পাওয়া গেছে। এর ফলেই এ বছর ৯৯টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা কিডনি জটিলতার প্রায় ২০০টি ঘটনা শনাক্ত করেছেন। যাদের বেশির ভাগই পাঁচ বছরের কম বয়সী। ওষুধটি আমদানি করা নাকি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।
এর আগে ভারতের মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালকে কাশির সিরাপ উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিওএইচও) ওই ব্যবহৃত সিরাপে অগ্রহণযোগ্য পরিমাণে ডাইথাইলিন গ্লাইকোল এবং ইথিলিন গ্লাইকোল খুঁজে পেয়েছিল। যা তীব্র কিডনি জটিলতার সঙ্গে যুক্ত ছিল।
ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বলেছেন, স্থানীয়ভাবে ব্যবহৃত কিছু ওষুধেও একই রাসায়নিক যৌগ পাওয়া গেছে। ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত অসুস্থ শিশুদের সঙ্গে যুক্ত সিরাপ ওষুধের ব্র্যান্ডের নাম প্রকাশ করেনি। এর পরিবর্তে শুধু সব সিরাপ ওষুধের বিক্রয় এবং প্রেসক্রিপশন সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছেন।
সূত্র : বিবিসি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন