বিএনপির সাথে সমাবেশ ডেকে সংঘাত উসকে দিচ্ছে যুবলীগ

বিএনপির সাথে সমাবেশ ডেকে সংঘাত উসকে দিচ্ছে যুবলীগ

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে দলের চেয়ারপাসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত অনশন কর্মসূচিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তারিখ পরিবর্তন করে বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিএনপির সমাবেশের দিন যুবলীগ সমাবেশ ডেকে সংঘাতমূলক পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়, এমন অভিযোগ করেন তিনি।

২৭ জুলাই বিএনপির মহাসমাবেশের দিন যুবলীগ কর্মসূচি দিয়ে সংঘাত সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ২৭ জুলাই কোনো সংঘাত-সংঘর্ষ হলে এর দায় ক্ষমতাসীন দল ও সরকারকে নিতে হবে হুশিয়ারি করেছেন তিনি।

মির্জা ফখরুল সরকারি দলকে তাদের সমাবেশের তারিখ পরিবর্তনের আহ্বানও জানান। বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশকে স্থায়ীভাবে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ভয়াবহ সংঘাতমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি থেকে বিরত থাকতে আওয়ামী লীগের প্রতি আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।

তিনি আরও বলেন, বিএনপিসহ সমমনা ৩৬টি দল একদফা দাবিতে বৃহস্পতিবার মহাসমাবেশ করবে। এই মহাসমাবেশ হঠাৎ করে আসেনি। গত ১৪-১৫ বছর ধরে সব দল এ দাবি নিয়ে কথা বলছে। মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের মন্ত্রী এমপিরা যে ভাষায় কথা বলেন তা কোনো ভাষা হতে পারে না। এগুলো সন্ত্রাসী ভাষা। তারা আমাদের হুমকি দিচ্ছেন। তবে জনগণ এবার রুখে দাঁড়াচ্ছে। সব শ্রেণি পেশার মানুষ এখন ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নেমেছে।

যুগপৎ আন্দোলনের বাইরেও অনেক দল আছে যারা বলছে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। সেজন্যই আমরা ২৭ জুলাই ঢাকায় মহাসমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকার পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ সত্যিকার অর্থেই ফ্যাসিস্ট দানবীয় আওয়ামী লীগ সরকারের কাছ থেকে মুক্তি চায়। কিন্তু অবৈধ সরকার ভালোভাবে জানে তারা অবৈধ। তারা টিকে থাকার জন্য মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। তারা আমাদের সাংবিধানিক যে অধিকার কথা বলা ও লেখার হরণ করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা শামসুর রাহমান শিমুল বিশ্বাস, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, শামা ওবায়েদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মোস্তাক মিয়া, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, মীর সরফত আলী সপু, বেনজীর আহমেদ টিটো, আবদুল খালেক, মো. মুনির হোসেন, তাইফুল ইসলাম টিপু, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজীব আহসান, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, ওলামা দলের শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক, অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম তালুকদার, গাজীপুর জেলার সভাপতি ফজলুল হক মিলন, ঢাকা জেলার সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী, মানিকগঞ্জ জেলার সভাপতি আফরোজা খানম রীতাসহ ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা। এরআগে নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে যৌথসভায় সভাপতিত্ব করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ যুবলীগ ২৪ জুলাই জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিল গত শনিবার। পরে তারিখ পরিবর্তন করে। বিএনপির সমাবেশের দিন আগামী ২৭ জুলাই একইস্থানে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগ সমাবেশ করবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password