একমাত্র চারদিনের ম্যাচে আফগান যুবাদের কাছে জুনিয়র টাইগারদের হার

একমাত্র চারদিনের ম্যাচে আফগান যুবাদের কাছে জুনিয়র টাইগারদের হার

স্পোর্টস ডেস্ক : করোনার কারণে এবারের বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দলের প্রস্তুতিটা ঠিকমতো হয়নি। দীর্ঘ সময় একসাথে অনুশীলন করলেওয়াচ অনুশীলন হচ্ছিল না। অবশেষে আফগান যুবাদের বিপক্ষে সেই সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট দল। পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে আফগানিস্তানের অনূর্ধ্ব ১৯ দলের বিপক্ষে ৩-২ ব্যাবধানে সিরিজ জিতেছিল দারুণ শুরু করেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট দল কিন্ত শেষটা ভাল হলো না টাইগার যুবাদের। একমাত্র চারদিনের ম্যাচে স্বাগতিকদের ৩ উইকেটে পরাজিত করে ওয়ানডে সিরিজ হারের মধুর প্রতিশোধ নিল।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দলের দেওয়া ১১০ রানের লক্ষ্য ছুঁতে ৭ উইকেট হারালেও তিন দিন তাদের হাতেই ছিল ম্যাচের নাটাই। বাংলাদেশ লড়াই করলেও শেষ হাসিটা হাসতে পারেনি। হাতে ৬ উইকেট রেখে ১৭০ রানে শনিবার শেষ দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং ব্যর্থতা এবারও কাটিয়ে উঠতে পারেনি স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে যায় ২২৮ রানে।

চতুর্থ দিনের শুরুতেই কোনো রান না করেই ড্রেসিং রুমের পথে আইচ। আইচের আউটের সাথে সাথেই বাংলাদেশ দলের আশার প্রদীপ ততোক্ষণে শুরু করেছে নিভতে। শেষমুহুর্তে মেহরাব হোসেনের ৩০ এবং তাহজিবুল ইসলামের ২০ রান শুধু লক্ষ্যটাকেই করেছে বড়। ২২৮ রানেই শেষ টাইগারদের দ্বিতীয় ইনিংস; ১০৯ রানে পিছিয়ে আফগানরা।

লক্ষ্য তাড়ায় অতিথিরা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায়। ওপেনার সুলায়মান সাফি (২), ইশহাক জাজাই (১৫) ও অধিনায়ক ইজাজ আহমেদ (১) দ্রুত সাজঘরে ফেরেন। ভালো করতে পারেননি জাহিদুল্লাহ সালিমি (১৩) ও বিলাল আহমেদ (০) । বাংলাদেশ দ্রুত পাঁচ উইকেট নিলেও দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন ওপেনার বিলাল সাইদি।

তার ৫৪ রানের ইনিংসে ম্যাচটা বাংলাদেশের নাগালের বাইরে চলে যায়। ১০৮ বলে ১০ চারে ৫৪ রান করেন তিনি। এছাড়া ২০ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন কামরান হ্যাটক। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন রিপন, মুশফিক ও আইচ।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password